মালিক ও তার ৩টি হাতি ।
মানুষ ও একটি অবলা প্রাণীর মধ্যেও গড়ে উঠতে পারে একটি ভালোবাসার বন্ধন। যা কোনকিছু দিয়েই মাপা যায়না। সম্প্রতি এমনই এক অসাধারণ দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে বছরখানেক পর এক ব্যক্তি ও তিনটি হাতির আবেগঘন মিলন দেখে চোখ ভিজেছে লাখো মানুষের।
ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের ‘এলিফ্যান্ট ন্যাচারাল’ পার্কে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি দূর থেকে তিনটি হাতিকে ডাক দিতেই তারা খুশিতে দৌড়ে আসে সেই ব্যক্তির দিকে। তবে হাতিদের মধ্যে এমন উত্তেজনা ও আবেগ প্রমাণ দেয় এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের। পরক্ষণেই দেখা যায়, বিশাল দেহের তিনটি হাতিই ঘিরে ধরে পুরোনো বন্ধুকে, যেন তাকে এক মুহূর্তের জন্যও ছেড়ে দেবে না।
এলিফ্যান্ট নিউজ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে সেই দৃশ্যর একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখে, ‘এক বছর পর তাদের প্রিয় মানুষটিকে দেখে হাতিগুলোর আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো।‘
প্রাণীজগৎ সাধারণত “স্মৃতিশক্তি”র জন্য অতটা বিখ্যাত না হলেও, হাতি এই ধারণাকে বহু আগেই চ্যালেঞ্জ করেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হাতিদের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত উন্নত। তারা তাদের যত্নশীল, সহানুভূতিশীল মানুষদের চেহারা, কণ্ঠস্বর এমনকি ঘ্রাণ পর্যন্ত মনে রাখতে পারে।
এই পোস্ট দেখে এক নাগরিক সেই ভিডিওতে মন্তব্য করেন, ‘এটি একটি জীবন্ত প্রমাণ যে কথা বলতে না পারলেও তাদের ভালোবাসা ঠিকই প্রকাশ পায়। আর হাতিরা প্রমাণ করল—যারা ভালোবাসতে জানে, তারা ভুলতে জানে না। মানুষও যদি এতটা বিশুদ্ধ হতে পারতো!’
এই দৃশ্য মনে করিয়ে দেয়—ভালোবাসা সত্যিই সীমাহীন। আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে, মানুষের বাইরে প্রাণীরাও অনুভব করতে জানে। তারা ভালোবাসে, আঘাত পায়, মনে রাখে। এই ভিডিও শুধু একটি পুনর্মিলনের গল্প নয়—এটি একটি অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রমাণ। এক বছর পরও যে ভালোবাসা অম্লান থাকে, সেই ভালোবাসা নিঃসন্দেহে বিরল।