ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরের টাকা ব্যাংকে ফিরছে, জুলাইতে জমা ৯ হাজার কোটি

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

ব্যাংক খাতে আবারও বাড়ছে টাকার প্রবাহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুধু জুলাই মাসেই মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থ থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরেছে। এর ফলে আমানতে গতি এসেছে, যা ব্যাংক খাতের তারল্য পরিস্থিতিকে স্বস্তি দিচ্ছে।

এর আগে মে ও জুনে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ বেড়েছিল। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে পশু কেনা ও নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। পাশাপাশি দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার ঘোষণায়ও অনেক গ্রাহক টাকা হাতে তুলে রাখেন। তবে জুলাইতে নগদ অর্থ আবার ব্যাংকে ফেরায় খাতটির প্রতি আস্থার বার্তা মিলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, জুলাই শেষে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে নগদ অর্থ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। জুনে এই অঙ্ক ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে বাইরে থাকা টাকা কমেছে ৯ হাজার ১৫৭ কোটি বা ৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। এর বিপরীতে মে ও জুনে যথাক্রমে ১৬ হাজার ৪১২ কোটি এবং ২ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা বেড়েছিল।

এই প্রবণতা নতুন নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনিয়ম-লুটপাটে জর্জরিত ব্যাংক খাত নিয়ে আস্থা সংকট তৈরি হয়। অনেক গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হাতে রাখেন। তবে ধীরে ধীরে সেই প্রবণতা কমতে শুরু করে। যদিও রোজা ও কোরবানির ঈদের আগে নগদ অর্থ উত্তোলন বাড়লেও ঈদের পর আবার ব্যাংকে টাকা ফেরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ছাপানো টাকার (রিজার্ভ মানি) পরিমাণও কমেছে। জুনে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ৫ লাখ ১ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা, জুলাই শেষে তা নেমে এসেছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকায়। এক মাসে কমেছে প্রায় ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অন্যদিকে আমানতের প্রবৃদ্ধিও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এপ্রিল-জুন তিন মাসে আমানত বেড়েছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

ঘরের টাকা ব্যাংকে ফিরছে, জুলাইতে জমা ৯ হাজার কোটি

আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যাংক খাতে আবারও বাড়ছে টাকার প্রবাহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুধু জুলাই মাসেই মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থ থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরেছে। এর ফলে আমানতে গতি এসেছে, যা ব্যাংক খাতের তারল্য পরিস্থিতিকে স্বস্তি দিচ্ছে।

এর আগে মে ও জুনে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ বেড়েছিল। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে পশু কেনা ও নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। পাশাপাশি দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার ঘোষণায়ও অনেক গ্রাহক টাকা হাতে তুলে রাখেন। তবে জুলাইতে নগদ অর্থ আবার ব্যাংকে ফেরায় খাতটির প্রতি আস্থার বার্তা মিলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, জুলাই শেষে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে নগদ অর্থ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। জুনে এই অঙ্ক ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে বাইরে থাকা টাকা কমেছে ৯ হাজার ১৫৭ কোটি বা ৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। এর বিপরীতে মে ও জুনে যথাক্রমে ১৬ হাজার ৪১২ কোটি এবং ২ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা বেড়েছিল।

এই প্রবণতা নতুন নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনিয়ম-লুটপাটে জর্জরিত ব্যাংক খাত নিয়ে আস্থা সংকট তৈরি হয়। অনেক গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হাতে রাখেন। তবে ধীরে ধীরে সেই প্রবণতা কমতে শুরু করে। যদিও রোজা ও কোরবানির ঈদের আগে নগদ অর্থ উত্তোলন বাড়লেও ঈদের পর আবার ব্যাংকে টাকা ফেরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ছাপানো টাকার (রিজার্ভ মানি) পরিমাণও কমেছে। জুনে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ৫ লাখ ১ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা, জুলাই শেষে তা নেমে এসেছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকায়। এক মাসে কমেছে প্রায় ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অন্যদিকে আমানতের প্রবৃদ্ধিও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এপ্রিল-জুন তিন মাসে আমানত বেড়েছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।