ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত শাহরুখ খানকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ বাংলাদেশি শহিদুল আলমকে কেৎজিয়েত কারাগারে বন্দি রেখেছে ইসরায়েল ফিলিপাইন-ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: কেটেছে সুনামির আশঙ্কা, ভেসে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নোবেল পুরস্কার না পেলে ট্রাম্প কী করবেন ভেবেই নরওয়েতে ‘আতঙ্ক’! বিশ্বনাথে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষা মিশনে বাহিনী হ্রাসের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা চালু হচ্ছে জেহাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে: তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইরান নিজের পায়ে দাঁড়াক : পেজেশকিয়ান

জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কর্মসংস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাংকের উদ্বেগ

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:২০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে হতে পারে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৭ সালে সেটা আরও বেড়ে ৬.৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি।

আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসে আয়োজিত বাংলাদেশ আপডেট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মারাত্মক ব্যাঘাত সত্ত্বেও পরবর্তী প্রান্তিকগুলিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। বহিরাগত খাতের চাপ হ্রাস পেয়েছে, রিজার্ভ হ্রাস স্থিতিশীল হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে।

তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করে সংস্থাটি। বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি তীব্রভাবে ধীর হয়ে গেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যাংকিং খাত এখনও ঝুঁকিপূর্ণ, উচ্চমাত্রার অনাদায়ি ঋণের কারণে। রাজস্ব আদায় এখনও দুর্বল।

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থেকেছে। তবে গণ-আন্দোলনের কারণে প্রথম প্রান্তিকে বড় ধাক্কা খেয়ে পুরো অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমে ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.০ শতাংশে দাঁড়ায়। এই মন্থরতার পেছনে মূল কারণ ছিল বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ সুদের হার ও উৎপাদন ব্যয়ের বৃদ্ধি। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসে এবং মূলধনি পণ্যের আমদানি কমে যায়।

বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তারা বলছে, দুর্বল বিনিয়োগের কারণে প্রবৃদ্ধির মন্দা দেখা দিয়েছে, যা মাত্র ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যবসা পরিচালনার উচ্চব্যয়ের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কম ছিল।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত

জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কর্মসংস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাংকের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০২:২০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে হতে পারে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৭ সালে সেটা আরও বেড়ে ৬.৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি।

আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসে আয়োজিত বাংলাদেশ আপডেট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মারাত্মক ব্যাঘাত সত্ত্বেও পরবর্তী প্রান্তিকগুলিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। বহিরাগত খাতের চাপ হ্রাস পেয়েছে, রিজার্ভ হ্রাস স্থিতিশীল হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে।

তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করে সংস্থাটি। বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি তীব্রভাবে ধীর হয়ে গেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যাংকিং খাত এখনও ঝুঁকিপূর্ণ, উচ্চমাত্রার অনাদায়ি ঋণের কারণে। রাজস্ব আদায় এখনও দুর্বল।

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থেকেছে। তবে গণ-আন্দোলনের কারণে প্রথম প্রান্তিকে বড় ধাক্কা খেয়ে পুরো অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমে ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.০ শতাংশে দাঁড়ায়। এই মন্থরতার পেছনে মূল কারণ ছিল বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ সুদের হার ও উৎপাদন ব্যয়ের বৃদ্ধি। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসে এবং মূলধনি পণ্যের আমদানি কমে যায়।

বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তারা বলছে, দুর্বল বিনিয়োগের কারণে প্রবৃদ্ধির মন্দা দেখা দিয়েছে, যা মাত্র ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যবসা পরিচালনার উচ্চব্যয়ের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কম ছিল।