ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত শাহরুখ খানকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ বাংলাদেশি শহিদুল আলমকে কেৎজিয়েত কারাগারে বন্দি রেখেছে ইসরায়েল ফিলিপাইন-ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: কেটেছে সুনামির আশঙ্কা, ভেসে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নোবেল পুরস্কার না পেলে ট্রাম্প কী করবেন ভেবেই নরওয়েতে ‘আতঙ্ক’! বিশ্বনাথে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষা মিশনে বাহিনী হ্রাসের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা চালু হচ্ছে জেহাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে: তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইরান নিজের পায়ে দাঁড়াক : পেজেশকিয়ান

চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন ট্রাম্প?

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক সম্মাননাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে ধরা হয় নোবেল শান্তি পুরস্কারকে।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে। এরআগেই প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন?

মূলত, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্বের জন্য নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসিম মুনিরসহ বেশকয়েকটি দেশের নেতারা তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। ট্রাম্প যদি জয়ী হন, তাহলে তিনি থিওডোর রুজভেল্ট, উড্রো উইলসন, জিমি কার্টার এবং বারাক ওবামার পর পঞ্চম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, যিনি এই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের বাচাইয়ের প্রক্রিয়া এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:

কে জিততে পারে?

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুসারে, ‘পুরষ্কারটি সেই ব্যক্তির কাছেই যাওয়া উচিত- যিনি বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্প্রীতি, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের জন্য সর্বাধিক বা সর্বোত্তম কাজ করেছেন।’

নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেন, ‘বাস্তবে যে কেউ নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাপক হতে পারেন। পুরস্কারের ইতিহাস স্পষ্টভাবে দেখায় যে এটি সারা বিশ্বের সমাজের সকল স্তরের মানুষকে দেওয়া হয়।’

কারা মনোনীত করতে পারেন?

যেকোনো দেশের সরকার ও সংসদ সদস্য, বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, আইন এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা পুরস্কারের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করতে পারেন। তবে কোনো ব্যক্তি নিজেকে মনোনীত করতে পারবেন না।

কে সিদ্ধান্ত নেয়?

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি: নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচজন ব্যক্তি নিয়ে গঠিত হয় এই কমিটি। অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, এই কমিটির সদস্যরা দেশটির অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ।

নোবেল কমিটি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়?

প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি থাকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, অর্থাৎ নেতানিয়াহুর ট্রাম্পের মনোনয়ন এই বছর বিবেচনা করা হবে না। কমিটির সদস্যরা ফেব্রুয়ারিতে কমিটির প্রথম সভার আগে তাদের নিজস্ব মনোনয়ন দিতে পারবেন।

কমিটির সদস্যরা একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেন এবং নোবেল কমিটি স্থায়ী উপদেষ্টা ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল প্রতিটি মনোনীত প্রার্থীর তথ্যউপাত্ত মূল্যায়ন করেন। যাচাইবাছাইয়ের পর কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রায়শই পুরস্কার ঘোষণার কয়েক দিন আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিতর্ক

নোবেল শান্তি পুরস্কারকে প্রায়শই রাজনৈতিক বার্তা বহনকারী হিসেবে দেখা হয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক মাস পরেই নোবেল পুরষ্কার জিতেছিলেন, যা তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করে। এর আগে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং ভিয়েতনামী রাজনীতিবিদ লে ডুক থোকে পুরষ্কার প্রদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করেন।

১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলের শিমন পেরেস এবং ইতজাক রবিনের সঙ্গে যৌথভাবে পুরষ্কার পেলে কমিটির একজন সদস্য পদত্যাগ করেন।

বিজয়ীরা কী পান?

একটি পদক, একটি ডিপ্লোমা, ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন (১.১৫ মিলিয়ন ডলার)। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ও সম্মান লাভ।

১৯০১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১১ জন ব্যক্তি এবং ৩০টি সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪১। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি তিনবার (১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে, এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর দুইবার (১৯৫৪ ও ১৯৮১) পুরস্কার লাভ করেছে।

বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।

ঘোষণা এবং অনুষ্ঠান কখন?

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয় এবং ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন অসলো সিটি হলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত

চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন ট্রাম্প?

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক সম্মাননাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে ধরা হয় নোবেল শান্তি পুরস্কারকে।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে। এরআগেই প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন?

মূলত, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্বের জন্য নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসিম মুনিরসহ বেশকয়েকটি দেশের নেতারা তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। ট্রাম্প যদি জয়ী হন, তাহলে তিনি থিওডোর রুজভেল্ট, উড্রো উইলসন, জিমি কার্টার এবং বারাক ওবামার পর পঞ্চম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, যিনি এই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের বাচাইয়ের প্রক্রিয়া এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:

কে জিততে পারে?

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুসারে, ‘পুরষ্কারটি সেই ব্যক্তির কাছেই যাওয়া উচিত- যিনি বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্প্রীতি, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের জন্য সর্বাধিক বা সর্বোত্তম কাজ করেছেন।’

নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেন, ‘বাস্তবে যে কেউ নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাপক হতে পারেন। পুরস্কারের ইতিহাস স্পষ্টভাবে দেখায় যে এটি সারা বিশ্বের সমাজের সকল স্তরের মানুষকে দেওয়া হয়।’

কারা মনোনীত করতে পারেন?

যেকোনো দেশের সরকার ও সংসদ সদস্য, বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, আইন এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা পুরস্কারের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করতে পারেন। তবে কোনো ব্যক্তি নিজেকে মনোনীত করতে পারবেন না।

কে সিদ্ধান্ত নেয়?

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি: নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচজন ব্যক্তি নিয়ে গঠিত হয় এই কমিটি। অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, এই কমিটির সদস্যরা দেশটির অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ।

নোবেল কমিটি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়?

প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি থাকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, অর্থাৎ নেতানিয়াহুর ট্রাম্পের মনোনয়ন এই বছর বিবেচনা করা হবে না। কমিটির সদস্যরা ফেব্রুয়ারিতে কমিটির প্রথম সভার আগে তাদের নিজস্ব মনোনয়ন দিতে পারবেন।

কমিটির সদস্যরা একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেন এবং নোবেল কমিটি স্থায়ী উপদেষ্টা ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল প্রতিটি মনোনীত প্রার্থীর তথ্যউপাত্ত মূল্যায়ন করেন। যাচাইবাছাইয়ের পর কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রায়শই পুরস্কার ঘোষণার কয়েক দিন আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিতর্ক

নোবেল শান্তি পুরস্কারকে প্রায়শই রাজনৈতিক বার্তা বহনকারী হিসেবে দেখা হয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক মাস পরেই নোবেল পুরষ্কার জিতেছিলেন, যা তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করে। এর আগে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং ভিয়েতনামী রাজনীতিবিদ লে ডুক থোকে পুরষ্কার প্রদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করেন।

১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলের শিমন পেরেস এবং ইতজাক রবিনের সঙ্গে যৌথভাবে পুরষ্কার পেলে কমিটির একজন সদস্য পদত্যাগ করেন।

বিজয়ীরা কী পান?

একটি পদক, একটি ডিপ্লোমা, ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন (১.১৫ মিলিয়ন ডলার)। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ও সম্মান লাভ।

১৯০১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১১ জন ব্যক্তি এবং ৩০টি সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪১। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি তিনবার (১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে, এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর দুইবার (১৯৫৪ ও ১৯৮১) পুরস্কার লাভ করেছে।

বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।

ঘোষণা এবং অনুষ্ঠান কখন?

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয় এবং ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন অসলো সিটি হলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।