মানুষের শরীরে নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্যালোরি প্রয়োজন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় ক্যালোরি গ্রহণ করলে পেটে মেদ জমতে শুরু করে। আবার সুস্থতার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। কিন্তু শরীরচর্চাটাও হওয়া চাই নির্দিষ্ট মাত্রায়। কম খাওয়া বা বেশি শরীরচর্চা করলেই পেট ও মুখের মেদ কমে যাবে এমন কথা নেই। আগে বুঝতে হবে শরীরের জন্য কী, কতটুকু প্রয়োজন। পেট ও মুখের মেদ কমাতে পাঁচটি বিষয়ে নজর দিন।
এক. প্রতিদিন ঠিক কী পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন, তার একটা হিসাব রাখা উচিত। তা না হলে ওজন দিন দিন বাড়তেই থাকবে। হতে পারে অজান্তেই আপনি দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালোরির থেকে বেশি গ্রহণ করছেন। যার ফলে পেটের মেদ বেড়ে যাচ্ছে।
দুই. ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে হাঁটা উপকারী। এখন অনেকেই স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারেন। পেটের মেদ কমানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার স্টেপ কাউন্ট আসে। কত পা হাঁটলেন তার একটা হিসাব পেয়ে যাবেন।
তিন. অতিরিক্ত শর্করা শরীরে প্রবেশ করলে তা ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তখন শরীরে মেদ জমতে শুরু করে। তাই পেটের ওজন কমাতে অবিলম্বে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বর্জন করা জরুরি।
চার. অ্যালকোহল, সোডা জাতীয় পানীয় এবং রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া অধিক তেলযুক্ত খাবারে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। ওজন কমাতে তাই এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা জরুরি। রেস্তোঁরার খাবারের ওপরেও রাশ টানা প্রয়োজন।
পাঁচ. পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত ইয়োগা করতে পারেন।