ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন মায়েদের প্রয়োজন ৪ ধরণের বিশ্রামের

নতুন মায়ের কোলে নবজাতক শিশু / ছবি: সংগৃহীত


নতুন মা হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সারা ঘরজুড়ে থাকে নবজাতককে নিয়ে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়। এ সময় নবজাতকের পাশাপাশি নতুন মায়েরও দরকার একটু বাড়তি যত্নের এবং বিশ্রামের। কারণ, প্রসব-পরবর্তী শারীরিক ও মানসিক পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন মায়ের বিশ্রাম অপরিহার্য। কেননা একজন মায়ের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে নবজাতকের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠা। বিশ্রাম নিলে শরীর পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, যা শিশুকে দেখাশোনা করা এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক সদ্য মা হওয়া নারীরা বিশ্রাম নিবেন যেভাবে:-

১. শারীরিক বিশ্রাম

সদ্য হওয়া মায়েডের শরীরে অনেক ধকল যায় দেখে শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য তাকে অনেক বিশ্রাম নিতে হয়। তাই নতুন মায়েদের উচিত সকল শারীরিক কার্যকলাপ থেকে বিরতি নেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং স্ট্রেচিং বা হালকা ব্যায়াম করা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।

২. মানসিক বিশ্রাম

মানসিক বিশ্রাম শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান জন্মের পর নতুন মায়েরা নানান বিষয়ে মানসিক চাপে থাকেন, তখন তার প্রভাব শরীরেও পড়ে। তাই, মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে শান্ত করতে মানসিক বিশ্রাম অপরিহার্য। এর জন্য ধ্যান, গান শোনা বা এমন কিছু করা যেতে পারে যা মনকে প্রফুল্ল করে। মানসিক চাপ কমাতে মনকেও বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।

৩. সামাজিক বিশ্রাম

নতুন মায়েদের উচিত সামাজিক কার্যকলাপ থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়া। এতে আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। যেমন-বন্ধুদের সাথে মেলামেশা কমিয়ে নিজের শখের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাটে পারেন বা সামাজিক মাধ্যম থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকতে পারেন।

৪. মানসিক বিশ্রাম

আপনার সঙ্গী, জন্ম সহায়তা প্রদানকারী ব্যক্তি অথবা ডুলা/ধাত্রীর সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। প্রসবের পরে আমাদের প্রায়শই অনেক কিছু খোলামেলাভাবে বলার থাকে এবং প্রসবের সময় আপনার কেমন অনুভূতি হয়েছিল, অভিজ্ঞতার উত্থান-পতন এবং এখন আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে তা ভাগ করে নেওয়া স্বাভাবিক।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

নতুন মায়েদের প্রয়োজন ৪ ধরণের বিশ্রামের

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

নতুন মায়ের কোলে নবজাতক শিশু / ছবি: সংগৃহীত


নতুন মা হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সারা ঘরজুড়ে থাকে নবজাতককে নিয়ে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়। এ সময় নবজাতকের পাশাপাশি নতুন মায়েরও দরকার একটু বাড়তি যত্নের এবং বিশ্রামের। কারণ, প্রসব-পরবর্তী শারীরিক ও মানসিক পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন মায়ের বিশ্রাম অপরিহার্য। কেননা একজন মায়ের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে নবজাতকের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠা। বিশ্রাম নিলে শরীর পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, যা শিশুকে দেখাশোনা করা এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক সদ্য মা হওয়া নারীরা বিশ্রাম নিবেন যেভাবে:-

১. শারীরিক বিশ্রাম

সদ্য হওয়া মায়েডের শরীরে অনেক ধকল যায় দেখে শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য তাকে অনেক বিশ্রাম নিতে হয়। তাই নতুন মায়েদের উচিত সকল শারীরিক কার্যকলাপ থেকে বিরতি নেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং স্ট্রেচিং বা হালকা ব্যায়াম করা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।

২. মানসিক বিশ্রাম

মানসিক বিশ্রাম শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান জন্মের পর নতুন মায়েরা নানান বিষয়ে মানসিক চাপে থাকেন, তখন তার প্রভাব শরীরেও পড়ে। তাই, মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে শান্ত করতে মানসিক বিশ্রাম অপরিহার্য। এর জন্য ধ্যান, গান শোনা বা এমন কিছু করা যেতে পারে যা মনকে প্রফুল্ল করে। মানসিক চাপ কমাতে মনকেও বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।

৩. সামাজিক বিশ্রাম

নতুন মায়েদের উচিত সামাজিক কার্যকলাপ থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়া। এতে আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। যেমন-বন্ধুদের সাথে মেলামেশা কমিয়ে নিজের শখের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাটে পারেন বা সামাজিক মাধ্যম থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকতে পারেন।

৪. মানসিক বিশ্রাম

আপনার সঙ্গী, জন্ম সহায়তা প্রদানকারী ব্যক্তি অথবা ডুলা/ধাত্রীর সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। প্রসবের পরে আমাদের প্রায়শই অনেক কিছু খোলামেলাভাবে বলার থাকে এবং প্রসবের সময় আপনার কেমন অনুভূতি হয়েছিল, অভিজ্ঞতার উত্থান-পতন এবং এখন আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে তা ভাগ করে নেওয়া স্বাভাবিক।