ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রসায়নে নোবেল বিজয়ী কে এই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ওমর?

এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।‘মেটাল অরগানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ উদ্ভাবনের কারণে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবারের তিনজনের মধ্যে রয়েছেন- ওমর এম ইয়াগি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হলেও ওমরের জন্ম হয়েছিল এক ফিলিস্তিনি শরণার্থী বাবা-মায়ের ঘরে। নিজ দেশ ফিলিস্তিন থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ওমরের বাবা-মা চলে যান জর্ডানের আম্মানে। ১৯৬৫ সালে সেখানেই জন্ম হয় তার।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবার অনুপ্রেরণায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ওমর। ওই সময় খুব বেশি ইংরেজি না জানলেও যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজে ভর্তি হন তিনি। এরপর সেখানেই গ্র্যাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পিএইচডি করেন ওমর। তিনি তার জ্ঞানের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করেন।

ওমর যে সময় জর্ডানে ছিলেন, তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে অন্য আরও ভাইবোনদের সঙ্গে মাত্র একটি রুমে থাকতে হতো তাকে। এছাড়া যেখানে থাকতেন সেখানে পানির প্রকট সমস্যা ছিল। প্রতি দুই সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি আনার সুযোগ পেতেন তারা। এ কারণে পরবর্তীতে পানি সংগ্রহ বিষয় নিয়ে কাজ করেন তিনি।

২০২১ সালে সৌদি আরব তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়। ভিশন ২০৩০ এর অংশ হিসেবে দেশটির নাগরিক হন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জ্ঞানী ও গুণী অনেককে নাগরিকত্ব দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ওমরের সঙ্গে এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন আরও দু’জন। তারা হলেন- সুসুমু কিতাগাওয়া এবং রিচার্ড রবসন। সুসুমু জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়, অপরদিকে রিচার্ড রবসন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

সূত্র: আল আরাবিয়া, টাইমস অব ইসরায়েল

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

রসায়নে নোবেল বিজয়ী কে এই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ওমর?

আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।‘মেটাল অরগানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ উদ্ভাবনের কারণে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবারের তিনজনের মধ্যে রয়েছেন- ওমর এম ইয়াগি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হলেও ওমরের জন্ম হয়েছিল এক ফিলিস্তিনি শরণার্থী বাবা-মায়ের ঘরে। নিজ দেশ ফিলিস্তিন থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ওমরের বাবা-মা চলে যান জর্ডানের আম্মানে। ১৯৬৫ সালে সেখানেই জন্ম হয় তার।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবার অনুপ্রেরণায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ওমর। ওই সময় খুব বেশি ইংরেজি না জানলেও যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজে ভর্তি হন তিনি। এরপর সেখানেই গ্র্যাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পিএইচডি করেন ওমর। তিনি তার জ্ঞানের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করেন।

ওমর যে সময় জর্ডানে ছিলেন, তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে অন্য আরও ভাইবোনদের সঙ্গে মাত্র একটি রুমে থাকতে হতো তাকে। এছাড়া যেখানে থাকতেন সেখানে পানির প্রকট সমস্যা ছিল। প্রতি দুই সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি আনার সুযোগ পেতেন তারা। এ কারণে পরবর্তীতে পানি সংগ্রহ বিষয় নিয়ে কাজ করেন তিনি।

২০২১ সালে সৌদি আরব তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়। ভিশন ২০৩০ এর অংশ হিসেবে দেশটির নাগরিক হন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জ্ঞানী ও গুণী অনেককে নাগরিকত্ব দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ওমরের সঙ্গে এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন আরও দু’জন। তারা হলেন- সুসুমু কিতাগাওয়া এবং রিচার্ড রবসন। সুসুমু জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়, অপরদিকে রিচার্ড রবসন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

সূত্র: আল আরাবিয়া, টাইমস অব ইসরায়েল