ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবার চোখের সামনে গণহত্যা চালাচ্ছে, ইসরায়েলকে থামান : গ্রেটা

ত্রাণবাহী জাহাজ বহর নিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় যেতে চাওয়া সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকারী তথা মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে অবশেষে্আটক করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

ত্রাণের জাহাজ নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা অধিকার কর্মীরা। কিন্তু গন্তব্যের অনেক আগেই তাদের আটকে দেয় ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

বেশ কয়েক দিন আটকে রাখার পরে অবশেষে সোমবার সুইডিশ মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে প্রত্যর্পণ করে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। মঙ্গলবার গ্রিসের এথেন্স বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছায় গ্রেটাদের বিমান।

বিমানবন্দরে গ্রেটাদের স্বাগত জানাতে হাজির হন বহু মানুষ। সবাই গ্রেটার কাছে জানতে চান, সত্যিই কি বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাকে? তার চুল টেনে ধাক্কা মেরে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল? বাধ্য করা হয়েছিল ইসরায়েলের পতাকা চুম্বন করতে?

গ্রেটা বলেন, আমার সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বরং ভাবা দরকার, ওখানে কী হচ্ছে। আমাদের সবার চোখের সামনে, আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ইসরায়েল ওখানে গণহত্যা চালাচ্ছে।

বিভিন্ন দেশের দায়িত্ব, ইসরায়েলের উপরে চাপ বাড়িয়ে, তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে এই গণহত্যা বন্ধ করা। আমরা কিন্তু সে রকম কিছুই দেখছি না। গাজার বিষয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করছে না।

নাম না করলেও এটা স্পষ্ট যে, গ্রেটার সমালোচনার তির আমেরিকার দিকেই। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে শান্তির কথা বললেও আমেরিকা ইসরায়েলকে লাগাতার অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে।

গ্রেটা প্রসঙ্গে ট্রাম্প পাল্টা বলেন, ওর মনে হয় মাথার ব্যামো আছে, ডাক্তার দেখানো দরকার। সব কিছুতে ঢুকে পড়ে গণ্ডগোল পাকায়। আগে পরিবেশ নিয়ে কথা বলত। এখন আর সে সব নিয়ে কিছু বলে না। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রেগে যায়।

এ দিকে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত করতে মিশরে আলোচনায় বসেছেন ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা। তার মধ্যেই মধ্যগাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বরতা শিশুসহ অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

সবার চোখের সামনে গণহত্যা চালাচ্ছে, ইসরায়েলকে থামান : গ্রেটা

আপডেট সময় : ১২:৫২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

ত্রাণবাহী জাহাজ বহর নিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় যেতে চাওয়া সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকারী তথা মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে অবশেষে্আটক করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

ত্রাণের জাহাজ নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা অধিকার কর্মীরা। কিন্তু গন্তব্যের অনেক আগেই তাদের আটকে দেয় ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

বেশ কয়েক দিন আটকে রাখার পরে অবশেষে সোমবার সুইডিশ মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে প্রত্যর্পণ করে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। মঙ্গলবার গ্রিসের এথেন্স বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছায় গ্রেটাদের বিমান।

বিমানবন্দরে গ্রেটাদের স্বাগত জানাতে হাজির হন বহু মানুষ। সবাই গ্রেটার কাছে জানতে চান, সত্যিই কি বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাকে? তার চুল টেনে ধাক্কা মেরে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল? বাধ্য করা হয়েছিল ইসরায়েলের পতাকা চুম্বন করতে?

গ্রেটা বলেন, আমার সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বরং ভাবা দরকার, ওখানে কী হচ্ছে। আমাদের সবার চোখের সামনে, আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ইসরায়েল ওখানে গণহত্যা চালাচ্ছে।

বিভিন্ন দেশের দায়িত্ব, ইসরায়েলের উপরে চাপ বাড়িয়ে, তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে এই গণহত্যা বন্ধ করা। আমরা কিন্তু সে রকম কিছুই দেখছি না। গাজার বিষয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করছে না।

নাম না করলেও এটা স্পষ্ট যে, গ্রেটার সমালোচনার তির আমেরিকার দিকেই। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে শান্তির কথা বললেও আমেরিকা ইসরায়েলকে লাগাতার অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে।

গ্রেটা প্রসঙ্গে ট্রাম্প পাল্টা বলেন, ওর মনে হয় মাথার ব্যামো আছে, ডাক্তার দেখানো দরকার। সব কিছুতে ঢুকে পড়ে গণ্ডগোল পাকায়। আগে পরিবেশ নিয়ে কথা বলত। এখন আর সে সব নিয়ে কিছু বলে না। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রেগে যায়।

এ দিকে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত করতে মিশরে আলোচনায় বসেছেন ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা। তার মধ্যেই মধ্যগাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বরতা শিশুসহ অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।