ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি বর্বরতার ২ বছরে গাজায় নিহত ৬৭ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার ২ বছর পূর্ণ হলো আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় উপত্যকায় হামলা শুরু করে দখলদার বাহিনী।

সেই হামলা আজও চলছে আর এতে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু বিমান কিংবা স্থল হামলা নয়, সেদিন থেকেই উপত্যকাটি অবরোধ করেছে দখলদার বাহিনী। যার ফলে ত্রাণের অভাবে ভয়াবহ ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন গাজার বাসিন্দারা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অতর্কিত হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

হামাস নির্মূলের নামে ২ বছর ধরে গাজায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই উপত্যকা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল বলেন, ২ বছর ধরে গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে ইসরায়েল। যদিও তারা সেখানে কী অর্জন করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তবে অনেক ক্ষেত্রে ইরান-সমর্থিত প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের সক্ষমতাও কমেছে। অন্যদিকে, কয়েক দশকের তুলনায় এবার আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তেলআবিব।

গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল, অনেকদিন ধরেই এ অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয় ‘ইসরায়েল গাজায় জাতিগত নিধন (জেনোসাইড) বা হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল আরও বলেন, গাজায় গণহত্যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করেছে আইডিএফ।

সেখানে এমন পরিকল্পিত জীবনধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তাদের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে ফেলেছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল।

আইডিএফের ক্রমাগত হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় ইরান, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন এবং কাতারেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

ইসরায়েলি বর্বরতার ২ বছরে গাজায় নিহত ৬৭ হাজার

আপডেট সময় : ১১:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার ২ বছর পূর্ণ হলো আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় উপত্যকায় হামলা শুরু করে দখলদার বাহিনী।

সেই হামলা আজও চলছে আর এতে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু বিমান কিংবা স্থল হামলা নয়, সেদিন থেকেই উপত্যকাটি অবরোধ করেছে দখলদার বাহিনী। যার ফলে ত্রাণের অভাবে ভয়াবহ ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন গাজার বাসিন্দারা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অতর্কিত হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

হামাস নির্মূলের নামে ২ বছর ধরে গাজায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই উপত্যকা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল বলেন, ২ বছর ধরে গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে ইসরায়েল। যদিও তারা সেখানে কী অর্জন করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তবে অনেক ক্ষেত্রে ইরান-সমর্থিত প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের সক্ষমতাও কমেছে। অন্যদিকে, কয়েক দশকের তুলনায় এবার আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তেলআবিব।

গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল, অনেকদিন ধরেই এ অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয় ‘ইসরায়েল গাজায় জাতিগত নিধন (জেনোসাইড) বা হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল আরও বলেন, গাজায় গণহত্যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করেছে আইডিএফ।

সেখানে এমন পরিকল্পিত জীবনধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তাদের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে ফেলেছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল।

আইডিএফের ক্রমাগত হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় ইরান, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন এবং কাতারেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।