ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের বসানো হচ্ছে : রিজভীর অভিযোগ

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরপন্থি ব্যক্তিদের বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে তো ছিলই। এখন খুঁজে খুঁজে সেই তরুণদের বসানো হচ্ছে যারা একসময় শিবির করত এবং পরে প্রশাসনে এসেছে। মানসিকভাবে তারা এখনও শিবিরের ক্যাডারই রয়ে গেছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই ইসলামপন্থি দলের অনুসারীদের প্রশাসনের ‘কিং পয়েন্টে’ বসানো হয়, তাহলে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যাহত করবে।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য—বিএনপি-জামায়াত কামড়াকামড়ি করছে”—এর জবাবে রিজভী বলেন, “কোথায় এমনটা হচ্ছে? দেখান। আসলে একদলীয় মানসিকতা থেকে শুধু একটি রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকদেরই প্রশাসনে বসানো হচ্ছে।

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, যাদের ছাত্রদলের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, যেমন জাকির হোসেন—তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আবদুর রউফকে অতিরিক্ত সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তরিকুল ইসলামকে গুরুত্বহীন জায়গায় রাখা হয়েছে। অথচ খুঁজে খুঁজে একটি বিশেষ দলের অনুসারীদেরই জায়গা দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার চিন্তাধারার প্রতিফলন এখানেই স্পষ্ট।

রিজভীর দাবি, সরকার একটি নির্দিষ্ট ‘এজেন্ডা’ বা ‘নীল নকশা’ নিয়ে এগোচ্ছে, যেখানে ‘ডিপ স্টেট’ থেকে নানা পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। “নিরপেক্ষ প্রশাসন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়,”—বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি বদলি হওয়া জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমানকে নিয়েও তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, তিনি শুরু থেকেই বিএনপিবিরোধী ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছেন। বিএনপি পরিবারের তরুণ কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে রিজভী বলেন, আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে, যাতে কোনোভাবে ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে এবং গণতন্ত্র ধ্বংস না হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

প্রশাসনে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের বসানো হচ্ছে : রিজভীর অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:১৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরপন্থি ব্যক্তিদের বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে তো ছিলই। এখন খুঁজে খুঁজে সেই তরুণদের বসানো হচ্ছে যারা একসময় শিবির করত এবং পরে প্রশাসনে এসেছে। মানসিকভাবে তারা এখনও শিবিরের ক্যাডারই রয়ে গেছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই ইসলামপন্থি দলের অনুসারীদের প্রশাসনের ‘কিং পয়েন্টে’ বসানো হয়, তাহলে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যাহত করবে।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য—বিএনপি-জামায়াত কামড়াকামড়ি করছে”—এর জবাবে রিজভী বলেন, “কোথায় এমনটা হচ্ছে? দেখান। আসলে একদলীয় মানসিকতা থেকে শুধু একটি রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকদেরই প্রশাসনে বসানো হচ্ছে।

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, যাদের ছাত্রদলের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, যেমন জাকির হোসেন—তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আবদুর রউফকে অতিরিক্ত সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তরিকুল ইসলামকে গুরুত্বহীন জায়গায় রাখা হয়েছে। অথচ খুঁজে খুঁজে একটি বিশেষ দলের অনুসারীদেরই জায়গা দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার চিন্তাধারার প্রতিফলন এখানেই স্পষ্ট।

রিজভীর দাবি, সরকার একটি নির্দিষ্ট ‘এজেন্ডা’ বা ‘নীল নকশা’ নিয়ে এগোচ্ছে, যেখানে ‘ডিপ স্টেট’ থেকে নানা পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। “নিরপেক্ষ প্রশাসন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়,”—বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি বদলি হওয়া জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমানকে নিয়েও তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, তিনি শুরু থেকেই বিএনপিবিরোধী ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছেন। বিএনপি পরিবারের তরুণ কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে রিজভী বলেন, আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে, যাতে কোনোভাবে ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে এবং গণতন্ত্র ধ্বংস না হয়।