ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বীকৃতি নিয়ে ইসিতে জাপার দুই অংশের টানাটানি

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২৩ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জাতীয় পার্টির সক্রিয় দুটি গ্রুপ। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছেন জিএম কাদের, অপরটির নেতৃত্বে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আসল জাতীয় পার্টির দাবিদার দুই অংশই নিজেদের স্বীকৃতি দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাপার আনিসুল ইসলাম অংশের দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুরনো তথ্য ইসির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

অপরদিকে জিএম কাদের অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখতে গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় পার্টির (জাপা) নিবন্ধন ও প্রতীক দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নামেই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন এই অংশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

একদিন পর সিইসিকে লেখা অপর অংশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ওই কাউন্সিল-সংশ্লিষ্ট সকল প্রয়োজনীয় নথি ও দলিলপত্র যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার আবেদন ও অনুরোধ সত্ত্বেও এখনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পুরনো তথ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এর ফলে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম যথেষ্ট বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

এই অবস্থায়, জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নম্বর ১২ এবং প্রতীক লাঙ্গল-সংবলিত নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম যথাযথভাবে প্রতিস্থাপন করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জাপা গঠনের পর ছয়বারের মতো দলটি ভাঙনের মুখে পড়ে। এরশাদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রওশন এরশাদপন্থী, জিএম কাদেরপন্থীদের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। মাঝে বিদিশা এরশাদের আওয়াজও শোনা যায়। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জিএম কাদেরকেই লাঙ্গল দেয় ইসি। বর্তমানে অপর দুই পন্থীর কোনো আওযাজ না থাকলেও ফের শুরু হয়েছে লাঙ্গল নিয়ে টানাটানি।

জাতীয় পার্টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশনও। লাঙ্গল কে পাবে এমন প্রশ্নে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির নাম শুনলে আমি কনফিউজড হয়ে যাই। ওখানে হাফ ডজন আছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

স্বীকৃতি নিয়ে ইসিতে জাপার দুই অংশের টানাটানি

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জাতীয় পার্টির সক্রিয় দুটি গ্রুপ। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছেন জিএম কাদের, অপরটির নেতৃত্বে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আসল জাতীয় পার্টির দাবিদার দুই অংশই নিজেদের স্বীকৃতি দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাপার আনিসুল ইসলাম অংশের দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুরনো তথ্য ইসির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

অপরদিকে জিএম কাদের অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখতে গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় পার্টির (জাপা) নিবন্ধন ও প্রতীক দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নামেই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন এই অংশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

একদিন পর সিইসিকে লেখা অপর অংশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ওই কাউন্সিল-সংশ্লিষ্ট সকল প্রয়োজনীয় নথি ও দলিলপত্র যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার আবেদন ও অনুরোধ সত্ত্বেও এখনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পুরনো তথ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এর ফলে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম যথেষ্ট বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

এই অবস্থায়, জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নম্বর ১২ এবং প্রতীক লাঙ্গল-সংবলিত নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম যথাযথভাবে প্রতিস্থাপন করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জাপা গঠনের পর ছয়বারের মতো দলটি ভাঙনের মুখে পড়ে। এরশাদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রওশন এরশাদপন্থী, জিএম কাদেরপন্থীদের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। মাঝে বিদিশা এরশাদের আওয়াজও শোনা যায়। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জিএম কাদেরকেই লাঙ্গল দেয় ইসি। বর্তমানে অপর দুই পন্থীর কোনো আওযাজ না থাকলেও ফের শুরু হয়েছে লাঙ্গল নিয়ে টানাটানি।

জাতীয় পার্টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশনও। লাঙ্গল কে পাবে এমন প্রশ্নে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির নাম শুনলে আমি কনফিউজড হয়ে যাই। ওখানে হাফ ডজন আছে।’