ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অর জিতলেন উসমান দেম্বেলে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি) ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে ২০২৫ সালের পুরুষদের ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফরাসি ক্লাব পিএসজির দেশীয় আধিপত্য এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পেছনে তার অসাধারণ ভূমিকা তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার এনে দিয়েছে।

দেম্বেলে ২৮ বছর বয়সে ২০২৪–২৫ মৌসুমে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। তিনি মৌসুম শুরু করেছিলেন পিএসজির আক্রমণের ডান প্রান্তে, তবে ম্যানেজার লুইস এনরিক তাকে দ্রুত স্ট্রাইকার হিসেবে বদলান, যা প্রমাণিত হলো এক মাস্টারস্ট্রোক।

লিগ ১-এ ২৯ ম্যাচে দেম্বেলে ২১ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট নিয়ে শেয়ার করেন শীর্ষ গোলদাতার খেতাব এবং দলের হয়ে বছর সেরা দলে জায়গা পান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে নজরকাড়া। তিনি ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল ও আর্সেনালের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করে এবং জটিল মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট দিয়ে দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় নিশ্চিত করেছেন।

দেম্বেলে ৮টি গোল এবং ৬টি অ্যাসিস্ট নিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের ছাপ রেখেছেন। বিশেষ করে সেমিফাইনালে আর্সেনালের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য তার অ্যাসিস্ট এবং ফাইনালে ইন্টার মিলে পিএসজির পাঁচ গোলের মধ্যে দুটি গোলের জন্য সহায়তা উল্লেখযোগ্য।

ফ্রান্স ফুটবলকে জুনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেম্বেলে  বলেন, একজন ফুটবলারের জন্য ব্যালন ডি’অর জেতা হল ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বড় অর্জন, এক ধরণের পবিত্র স্বপ্ন যা ছোটবেলায় আমরা সবাই দেখি। আমি মনে করি যখন টেলিফুটে সেই মুহূর্তগুলো দেখতাম, তখন কল্পনাও করতে পারতাম না একদিন আমি নিজেই তা অর্জন করব।

এই বিজয়ের মাধ্যমে দেম্বেলে পিএসজির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন এবং বিশ্ব ফুটবলের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তুমি চাইলে আরেকটু সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত করতে পারো, বা কোনো নির্দিষ্ট দিক বেশি ফোকাস দিতে পারো বলো!

মেয়েদের ব্যালন ডি’অর আইতানা বোনমাতির
থ্রি-পিয়েত! টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি।

মেয়েদের ফুটবলে বোনমাতিই তিনবার ব্যালন ডি’অর জয়ী। টানা তিনবারজয়ী প্রথম নারী ফুটবলার তো অবশ্যই।

ছেলেদের ফুটবলে মিশেল প্লাতিনি ও লিওনেল মেসি টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।

অতিথিদের আসনে ছিলেন ব্রাজিলের প্রয়াত কিংবদন্তি সক্রেটিসের ভাই ও ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার রাই। তাকে ডাকা হলো মঞ্চে। মানবিক কাজের জন্য ২০২২ সাল থেকে ব্যালন ডি’অরে সক্রেটিস পুরস্কার যোগ করা হয়। আশির দশকে ব্রাজিলে সামরিক স্বৈরাচারী সরকারের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলেন ব্রাজিলের মিডফিল্ড কিংবদন্তি সক্রেটিস। তার নামে এই পুরস্কার।

পুরস্কারটি জিতেছে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করা জানা ফাউন্ডেশন। মঞ্চে উঠেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের ‍মুখপাত্র সাইরা মার্তিনেজ। পিএসজি কোচ এনরিকের মেয়ে ছিলেন জানা। ২০১৯ সালে ৯ বছর বয়সে জানা মারা যান।

সেরা ক্লাবের পুরস্কার ইংল্যান্ডে ও ফ্রান্সে
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে আর্সেনাল।

ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে পিএসজি।

আর্জেন্টিনা ও পিএসজির সাবেক তারকা হাভিয়ের পাস্তোরে ঘোষণা করলেন পিএসজির নাম।

পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি মঞ্চে উঠলেন। ওদিকে মার্শেইয়ের মাঠে লিগে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। গত বছরের মধ্যে মার্শেইয়ের মাঠে এটা পিএসজির প্রথম হার!

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অর জিতলেন উসমান দেম্বেলে

আপডেট সময় : ১০:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি) ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে ২০২৫ সালের পুরুষদের ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফরাসি ক্লাব পিএসজির দেশীয় আধিপত্য এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পেছনে তার অসাধারণ ভূমিকা তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার এনে দিয়েছে।

দেম্বেলে ২৮ বছর বয়সে ২০২৪–২৫ মৌসুমে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। তিনি মৌসুম শুরু করেছিলেন পিএসজির আক্রমণের ডান প্রান্তে, তবে ম্যানেজার লুইস এনরিক তাকে দ্রুত স্ট্রাইকার হিসেবে বদলান, যা প্রমাণিত হলো এক মাস্টারস্ট্রোক।

লিগ ১-এ ২৯ ম্যাচে দেম্বেলে ২১ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট নিয়ে শেয়ার করেন শীর্ষ গোলদাতার খেতাব এবং দলের হয়ে বছর সেরা দলে জায়গা পান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে নজরকাড়া। তিনি ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল ও আর্সেনালের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করে এবং জটিল মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট দিয়ে দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় নিশ্চিত করেছেন।

দেম্বেলে ৮টি গোল এবং ৬টি অ্যাসিস্ট নিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের ছাপ রেখেছেন। বিশেষ করে সেমিফাইনালে আর্সেনালের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য তার অ্যাসিস্ট এবং ফাইনালে ইন্টার মিলে পিএসজির পাঁচ গোলের মধ্যে দুটি গোলের জন্য সহায়তা উল্লেখযোগ্য।

ফ্রান্স ফুটবলকে জুনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেম্বেলে  বলেন, একজন ফুটবলারের জন্য ব্যালন ডি’অর জেতা হল ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বড় অর্জন, এক ধরণের পবিত্র স্বপ্ন যা ছোটবেলায় আমরা সবাই দেখি। আমি মনে করি যখন টেলিফুটে সেই মুহূর্তগুলো দেখতাম, তখন কল্পনাও করতে পারতাম না একদিন আমি নিজেই তা অর্জন করব।

এই বিজয়ের মাধ্যমে দেম্বেলে পিএসজির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন এবং বিশ্ব ফুটবলের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তুমি চাইলে আরেকটু সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত করতে পারো, বা কোনো নির্দিষ্ট দিক বেশি ফোকাস দিতে পারো বলো!

মেয়েদের ব্যালন ডি’অর আইতানা বোনমাতির
থ্রি-পিয়েত! টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি।

মেয়েদের ফুটবলে বোনমাতিই তিনবার ব্যালন ডি’অর জয়ী। টানা তিনবারজয়ী প্রথম নারী ফুটবলার তো অবশ্যই।

ছেলেদের ফুটবলে মিশেল প্লাতিনি ও লিওনেল মেসি টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।

অতিথিদের আসনে ছিলেন ব্রাজিলের প্রয়াত কিংবদন্তি সক্রেটিসের ভাই ও ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার রাই। তাকে ডাকা হলো মঞ্চে। মানবিক কাজের জন্য ২০২২ সাল থেকে ব্যালন ডি’অরে সক্রেটিস পুরস্কার যোগ করা হয়। আশির দশকে ব্রাজিলে সামরিক স্বৈরাচারী সরকারের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলেন ব্রাজিলের মিডফিল্ড কিংবদন্তি সক্রেটিস। তার নামে এই পুরস্কার।

পুরস্কারটি জিতেছে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করা জানা ফাউন্ডেশন। মঞ্চে উঠেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের ‍মুখপাত্র সাইরা মার্তিনেজ। পিএসজি কোচ এনরিকের মেয়ে ছিলেন জানা। ২০১৯ সালে ৯ বছর বয়সে জানা মারা যান।

সেরা ক্লাবের পুরস্কার ইংল্যান্ডে ও ফ্রান্সে
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে আর্সেনাল।

ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে পিএসজি।

আর্জেন্টিনা ও পিএসজির সাবেক তারকা হাভিয়ের পাস্তোরে ঘোষণা করলেন পিএসজির নাম।

পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি মঞ্চে উঠলেন। ওদিকে মার্শেইয়ের মাঠে লিগে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। গত বছরের মধ্যে মার্শেইয়ের মাঠে এটা পিএসজির প্রথম হার!