ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে আফগানিস্তানে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাগরাম বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে না দিলে আফগানিস্তানের জন্য ‘খারাপ কিছু’ অপেক্ষা করছে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় আফগানিস্তান পুনর্দখলে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে। এটি ফেরত না দিলে আফগানিস্তানে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের (নাইন–ইলেভেন) পর থেকে মার্কিন বাহিনী এ ঘাঁটি ব্যবহার করে আসছে। ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, এ নিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তালেবান মার্কিন-সমর্থিত কাবুল সরকারকে উৎখাত করে এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলো দখলে নেয়। এরপর থেকেই আফগান কর্মকর্তারা দেশে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক উপস্থিতির কড়া বিরোধিতা করছেন।

বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল মানেই কার্যত আফগানিস্তানে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করা। এ জন্য প্রয়োজন হতে পারে অন্তত ১০ হাজার সেনা ও আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

ট্রাম্প অতীতেও বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনা—পানামা খাল থেকে শুরু করে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত—দখলের আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়েও তিনি দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে শনিবার সাংবাদিকেরা আফগানিস্তানে সেনা পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি।

শুধু বলেন, ‘আমরা এখন আলোচনা করছি। আমরা এটি ফেরত চাই, দ্রুত চাই। তারা যদি ফেরত না দেয়, তবে আপনারা দেখবেন আমি কী করি।’

উল্লেখ্য, নাইন–ইলেভেন হামলার পর আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ঘাঁটি ছিল বাগরাম। একসময় এই ঘাঁটিতে বার্গার কিং, পিৎজা হাটের মতো ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ, ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান থেকে শুরু করে আফগান গালিচার বাজার পর্যন্ত ছিল। ঘাঁটির ভেতরে ছিল বিশাল এক কারাগারও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলেও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল জনবল প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি তালেবান সরকার সম্মত হলেও ইসলামিক স্টেট ও আল–কায়দার মতো সংগঠনের হামলা ঠেকানো কঠিন হয়ে উঠবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে আফগানিস্তানে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে

আপডেট সময় : ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাগরাম বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে না দিলে আফগানিস্তানের জন্য ‘খারাপ কিছু’ অপেক্ষা করছে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় আফগানিস্তান পুনর্দখলে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে। এটি ফেরত না দিলে আফগানিস্তানে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের (নাইন–ইলেভেন) পর থেকে মার্কিন বাহিনী এ ঘাঁটি ব্যবহার করে আসছে। ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, এ নিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তালেবান মার্কিন-সমর্থিত কাবুল সরকারকে উৎখাত করে এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলো দখলে নেয়। এরপর থেকেই আফগান কর্মকর্তারা দেশে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক উপস্থিতির কড়া বিরোধিতা করছেন।

বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল মানেই কার্যত আফগানিস্তানে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করা। এ জন্য প্রয়োজন হতে পারে অন্তত ১০ হাজার সেনা ও আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

ট্রাম্প অতীতেও বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনা—পানামা খাল থেকে শুরু করে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত—দখলের আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়েও তিনি দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে শনিবার সাংবাদিকেরা আফগানিস্তানে সেনা পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি।

শুধু বলেন, ‘আমরা এখন আলোচনা করছি। আমরা এটি ফেরত চাই, দ্রুত চাই। তারা যদি ফেরত না দেয়, তবে আপনারা দেখবেন আমি কী করি।’

উল্লেখ্য, নাইন–ইলেভেন হামলার পর আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ঘাঁটি ছিল বাগরাম। একসময় এই ঘাঁটিতে বার্গার কিং, পিৎজা হাটের মতো ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ, ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান থেকে শুরু করে আফগান গালিচার বাজার পর্যন্ত ছিল। ঘাঁটির ভেতরে ছিল বিশাল এক কারাগারও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলেও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল জনবল প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি তালেবান সরকার সম্মত হলেও ইসলামিক স্টেট ও আল–কায়দার মতো সংগঠনের হামলা ঠেকানো কঠিন হয়ে উঠবে।