স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৬ সালে প্রকাশিত বহুল আলোচিত পানামা পেপারসে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর নাম এসেছিল।
দুদক জানায়, লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইস ও টেকনোক্রেট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু কৃষিজমি ক্রয়, জমি লিজ, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণে মোট ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ার ও বিনিয়োগ, গাড়ি ক্রয়, ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে আরও ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ তার নামে পাওয়া গেছে। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এছাড়া মিঠুর নামে পারিবারিক ব্যয় পাওয়া গেছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অন্যদিকে অনুসন্ধানে বৈধ উৎস পাওয়া গেছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে মিঠুর বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরসের (সিএমএসডি) সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদউল্লাহ সরকারের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। ওই প্রতিবেদনে ‘মিঠু চক্রকে’ স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটার অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতির মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনের পরই মিঠুর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকসহ একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনুসন্ধান শুরু করে।