ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনাকে আজীবন সদস্য চাওয়া ইমি ভিপি পদে ভোট পেলেন ৬৮

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৮টি ভোট পেয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিনেট ভবনে এ ফল ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন।

তিনি জানান, ভিপি-জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদে ২৩টিতেই বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। ভিপি পদে আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন।

চিফ রিটার্নিং অফিসার—১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জিএস পদে জয়ী হন এসএম ফরহাদ। তিনিও ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে লড়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

শিবিরের প্যানেলের বাইরে বাকি পাঁচ পদে জয়ী হয়েছেন অন্য প্রার্থীরা। তারা হলেন—সমাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবাইর বিন নেছারী। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী। সদস্য পদে হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।

এদিকে ইমি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর এক টকশোতে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

সে সময় ভিপি নুরুল হক নুর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও ইমি বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু আয়োজন সম্ভব হয়েছে তার আন্তরিকতার কারণেই। কৃতজ্ঞতাবশত হলেও তাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত।’

পরে ২০১৯ সালের ৩০ মে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়, যদিও নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

হাসিনাকে আজীবন সদস্য চাওয়া ইমি ভিপি পদে ভোট পেলেন ৬৮

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৮টি ভোট পেয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিনেট ভবনে এ ফল ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন।

তিনি জানান, ভিপি-জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদে ২৩টিতেই বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। ভিপি পদে আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন।

চিফ রিটার্নিং অফিসার—১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জিএস পদে জয়ী হন এসএম ফরহাদ। তিনিও ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে লড়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

শিবিরের প্যানেলের বাইরে বাকি পাঁচ পদে জয়ী হয়েছেন অন্য প্রার্থীরা। তারা হলেন—সমাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবাইর বিন নেছারী। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী। সদস্য পদে হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।

এদিকে ইমি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর এক টকশোতে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

সে সময় ভিপি নুরুল হক নুর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও ইমি বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু আয়োজন সম্ভব হয়েছে তার আন্তরিকতার কারণেই। কৃতজ্ঞতাবশত হলেও তাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত।’

পরে ২০১৯ সালের ৩০ মে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়, যদিও নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।