ভারতে পলাতক গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ৭৯ তম জন্মদিনে কুশ পুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ করেছে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘শুভ শুভ শুভদিন’, ‘খুনি হাসিনার জন্মদিন’, ‘খুনি হাসিনার দুই গালে’, ‘জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। জন্মদিনে এভাবে ছাত্ররা হত্যাকারী শেখ হাসিনার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) তে ‘দ্য রেড জুলাই’ নামে একটি সংগঠন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৯তম জন্মদিনকে ঘৃণ্য দিন হিসেবে উৎযাপন করে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, যেখানে অতীত শাসনকালে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলে-হলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে এসব জন্মদিন পালনের জন্য নির্দেশনা দিতেন, এবং আজ তারা সেটাকে ‘ইতিহাসের ঘৃণ্য দিন’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চান।
দ্য রেড জুলাইর সদস্য সচিব মো. সজিব হোসেন বলেন, “খুনি হাসিনার জন্য যে কেক কাটা হয়েছে, সেই কেক এমনিতে কুকুরও খেতে চাচ্ছে না। কুকুরও বুঝে যে হাসিনা কতটা স্বৈরাচার ছিল।”
তিনি বলেন, তারা সেই বাধ্যতামূলক কর্মসূচির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে এ আয়োজন করেছে এবং ভবিষ্যতেও যেন কোনো শাসন ‘স্বৈরাচারী’ভাবে এই ধরনের দিবস পালন করাতে না পারে—এই বার্তা দিতে চান তারা।
কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সময় এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, “আরও জুতা মারার ইচ্ছে ছিল, সময় কম থাকায় পারছি না।”
তিনি বলেন, এই ডাইনি আমাদের অনেক ভাইয়ের রক্ত ঝরিয়েছেন। অনেক মানুষ খুন করেছে—এজন্যই আমরা এমন প্রতিবাদ করছি। তাকে জুতা মারলেই হবে না; তার ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।”
আয়োজকরা বলেন, আপনারা জানেন যে আজকে স্বৈরাচারী সরকার খুনি হাসিনার জন্মদিন ছিল। বিগত শাসন আমলে আমরা দেখতাম প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের হলে হলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দালালরা শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে এই জন্মদিন পালন করাতো।
শুধু হাসিনা না তার মুজিব পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত যত ধরনের দিবস ছিল সবগুলোতেই শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে পালন করাতো। এটা এখন ইতিহাসের ঘৃণ্য দিন হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা এই দিনটি ঘৃণ্য দিন হিসাবেই উদযাপন করতে চাই।