যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গত মাসে ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর রিজার্ভ শাখা ন্যাশনাল গার্ডের ৮০০ সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের নিজের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
গতকাল এই পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন ট্রাম্প এবং তা দিতে গিয়ে গার্হস্ত্য বা পারিবারিক সহিংসতার উদাহারণ টেনেছেন তিনি।
সোমবার ওয়াশিংটনে মিউজিয়াম অব দ্য বাইবেল মিলনায়তনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, “অনেক সময় এমন হয়— বাড়িতে কিছু ঘটলেই আশপাশের লোকজন তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। সামান্য ব্যাপারকেও তারা অনেক বড় করে উপস্থাপন করে। যদি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর সামান্য লড়াই হয়, তাহলে সেটাকেও তারা বড় অপরাধ হিসেবে হাজির করবে। অথচ এটা আদৌ কোনো অপরাধ নয়।”
গত মাসে ওয়াশিংটনে সেনা মোতায়েনের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন ওয়াশিংটনের প্রধান আইন কর্মকর্তা ব্রায়ান স্কোয়াল্ব। মামলায় তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের পুলিশ পরিষেবা দপ্তর মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এমপিডি) দখলের অভিযোগ এসেছে মামলায়।
সোমবারের বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “পরিসংখ্যান বলছে, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পর থেকে ওয়াশিংটনে অপরাধের হার ৮৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আমার ধারণা, অপরাধ হ্রাসের হার আরও বেশি। ওয়াশিংটন এখন অপরাধশূন্য।”
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে অপরাধ কমেছে বটে, কিন্তু শূন্য পর্যায়ে নামেনি এখনও।
পত্রিকাটির তথ্য অনুযায়ী, রোববার ওয়াশিংটনে একটি হত্যা, ৬টি গাড়ি চুরি, ২টি সশস্ত্র হামলা, চারটি ডাকাতি এবং ৩০টিরও বেশি চুরির ঘটনা ঘটেছে।