ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ, আটকে গেলেন জামাল ভুঁইয়ারা।
নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তরুণদের তীব্র বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে ফেরার পরিকল্পনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আজ দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আজ (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৩৭২ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল জাতীয় দলের। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাইটটি বাতিল হয়ে যায়।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠার আভাস পেয়ে আগেভাগেই দলের ৩২ সদস্যের ফিরতি টিকিট রি-শিডিউলের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আবেদন করে বাফুফে। আজ সকালে রি-শিডিউল ফি প্রদান করে টিকিট নিশ্চিতও করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর করা যায়নি।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধিনিষেধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে হাজারো তরুণ। কাঠমান্ডু পোস্ট ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এই সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি এতটাই অস্থির হয়ে ওঠে যে, শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
নিরাপত্তা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটিও বাতিল করতে বাধ্য হয় অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)। এই ম্যাচটি আজ (৯ সেপ্টেম্বর) হওয়ার কথা ছিল। প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। আনফার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বাংলাদেশ দল গত ৩ সেপ্টেম্বর নেপাল সফরে যায়, অক্টোবরের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। ওই বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে হংকংয়ের। ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ অক্টোবর ঢাকায় এবং ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে।
নেপালের এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনাকেই এলোমেলো করেনি, বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে দেশটির স্বাভাবিক জনজীবনও।