ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা উদ্বোধন করা হয় আজ। এসময় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আচরণবিধি না মানলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল হক।
প্রার্থীরা যেসব কাজ করতে পারবেন এবং যা পারবেন না তা নিয়ে তিনি বলেন, প্রার্থীদের নির্বাচনি কোনো কার্যক্রমে জুলাইয়ের শহীদদের কোনো প্রকার অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের যে সকল শহীদ রয়েছেন; তাদের প্রতি কোনো প্রকার অসম্মানমূলক কাজ করা যাবে না। নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত থাকা সকল শিক্ষক বা কর্মকর্তা কারো সঙ্গে বেয়াদবি বরদাস্ত করা হবে না। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা আমাদের জানাতে হবে এবং আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো প্রার্থী বা শিক্ষার্থী যদি কারো ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, পারিবারিক পরিচয় প্রদর্শন করে তবে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব নিয়ম যদি না মানা হয়, তবে প্রার্থীর যোগ্যতা বাতিল করা হবে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করাও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন করছে তাদের মাথায় রাখা দরকার ডাকসু হচ্ছে সহশিক্ষা-কার্যক্রমের একটি অংশ। আমাদের প্রধান পরিচয় হচ্ছে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক হিসেবে তৈরি করা। ফলে নির্বাচনটি হচ্ছে দেশের বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনের একটি ধাপ। কোথাও কোনো কার্যক্রমের কারণে মূল শিক্ষা কার্যক্রম বা শ্রেণি কার্যক্রমে যেন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না হয়।
এই রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, সকল প্রার্থী তাদের স্ব পরিচয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে পারবে। হলগুলোতে প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর অনুমতি নিতে হবে। কোনো লাইব্রেরি,রিডিংরুম পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে এমন জায়গায় প্রচারণা চালাতে পারবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বক্তব্যের মাধ্যমে কাউকে বুলিং করতে পারবেন না। যদি করা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধেও যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।