ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদ-ধর্ষণ-অর্থ লুট, প্রতারক আটক

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
ভুয়া সেনা কর্মকর্তা আটক

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়ে প্রবাসীদের স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও অর্থ লুটের অভিযোগে ফয়সাল আহাম্মেদ (৩৪) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন উলুকান্দি পশ্চিমপাড়ার আলমের বাড়ির দোতলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার এবং সুমি আক্তার নামে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়ধারী একটি ভুয়া আইডি কার্ড, সেনাবাহিনীর পোশাকের রঙের একটি ব্যাগ, একটি টি-শার্ট এবং নগদ চব্বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, গ্রেপ্তার আসামি প্রবাসীর স্ত্রীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান করাতো। পরবর্তীতে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্ষণ করত।

প্রতারক ফয়সাল ইতোপূর্বে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে গোপালগঞ্জে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভাবনা নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে একই পদ্ধতিতে প্রতারণা ফাঁদে ফেলে স্বামীকে ডিভোর্স করিয়ে ধর্ষণ করে। তার বিরুদ্ধে শাহবাগ এবং তুরাগ থানায় মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার ভুক্তভোগী সুমি আক্তার তার ভাইয়ের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় বেড়াতে গেলে আসামি ফয়সালের সাথে পরিচয় হয়। তখন ফয়সাল নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত আছে মর্মে পরিচয় দেয় এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ফয়সাল এক লক্ষ টাকা নেয় এবং তার বদলি হয়েছে উল্লেখ করে ভুক্তভোগীকে ময়মনসিংহ নিয়ে একটি বাসায় রাখে। পরে তার স্বামীকে তালাক প্রদানের জন্য খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে এবং ধর্ষণ করে। অতঃপর ময়মনসিংহ থেকে ভুক্তভোগীকে কক্সবাজার এবং পরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার নিয়ে যায়।

এক সময় ভুক্তভোগী জানতে পারে, আসামি ফয়সাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার নয় এবং সে একই পরিচয়ে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। এরপর ফয়সালের কাছ থেকে চলে আসতে চাইলে এবং তার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক ফয়সাল ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে খুনের ভয় দেখায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী সুযোগ বুঝে তার ভাইকে ফোন করে জানালে তার ভাই বিল্লাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভুক্তভোগীর অবস্থান নির্ণয় করে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদ-ধর্ষণ-অর্থ লুট, প্রতারক আটক

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
ভুয়া সেনা কর্মকর্তা আটক

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়ে প্রবাসীদের স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও অর্থ লুটের অভিযোগে ফয়সাল আহাম্মেদ (৩৪) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন উলুকান্দি পশ্চিমপাড়ার আলমের বাড়ির দোতলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার এবং সুমি আক্তার নামে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়ধারী একটি ভুয়া আইডি কার্ড, সেনাবাহিনীর পোশাকের রঙের একটি ব্যাগ, একটি টি-শার্ট এবং নগদ চব্বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, গ্রেপ্তার আসামি প্রবাসীর স্ত্রীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান করাতো। পরবর্তীতে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্ষণ করত।

প্রতারক ফয়সাল ইতোপূর্বে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে গোপালগঞ্জে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভাবনা নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে একই পদ্ধতিতে প্রতারণা ফাঁদে ফেলে স্বামীকে ডিভোর্স করিয়ে ধর্ষণ করে। তার বিরুদ্ধে শাহবাগ এবং তুরাগ থানায় মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার ভুক্তভোগী সুমি আক্তার তার ভাইয়ের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় বেড়াতে গেলে আসামি ফয়সালের সাথে পরিচয় হয়। তখন ফয়সাল নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত আছে মর্মে পরিচয় দেয় এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ফয়সাল এক লক্ষ টাকা নেয় এবং তার বদলি হয়েছে উল্লেখ করে ভুক্তভোগীকে ময়মনসিংহ নিয়ে একটি বাসায় রাখে। পরে তার স্বামীকে তালাক প্রদানের জন্য খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে এবং ধর্ষণ করে। অতঃপর ময়মনসিংহ থেকে ভুক্তভোগীকে কক্সবাজার এবং পরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার নিয়ে যায়।

এক সময় ভুক্তভোগী জানতে পারে, আসামি ফয়সাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার নয় এবং সে একই পরিচয়ে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। এরপর ফয়সালের কাছ থেকে চলে আসতে চাইলে এবং তার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক ফয়সাল ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে খুনের ভয় দেখায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী সুযোগ বুঝে তার ভাইকে ফোন করে জানালে তার ভাই বিল্লাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভুক্তভোগীর অবস্থান নির্ণয় করে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।