ফুটবল দুনিয়ায় প্রতিনিয়তই ঘটে চলে রোমাঞ্চকর মোড়। তেমনই এক নতুন পালা যোগ হলো থিয়াগো আলমাদার পেশাদার জীবনে। মাত্র কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার। আর এখন, ইউরোপিয়ান ফুটবলে তার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা।
২৪ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে এবার দেখা যাবে স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জার্সিতে। ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে, বোতাফোগোর সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে তারা। এখন শুধু বাকি মেডিকেল পরীক্ষা এবং আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর; এই দুই ধাপেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে আলমাদার নতুন গন্তব্য।
আলমাদার ফুটবল ক্যারিয়ার বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগোয় মাত্র ১৭ ম্যাচ খেলার পর তিনি ধারে খেলেন ফরাসি ক্লাব লিঁওতে, যেখানে লিগ ওয়ানে মাঠে নামেন ১৬ বার। এরপরই ইউরোপে স্থায়ীভাবে ফিরতে চলেছেন এই দক্ষ মিডফিল্ডার। যিনি মাঠে যেমন খেলার ছন্দ বদলাতে পারেন, তেমনি আক্রমণে যোগ করেন নতুন মাত্রা।
অ্যাটলেটিকোর এই আগ্রহের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। ক্লাবটির বর্তমান মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন এখন অনেকটাই জোরালো। ইএসপিএনের খবরে বলা হয়েছে, ডি পল ইতিমধ্যেই এমএলএস ক্লাব ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। ক্লাবও চাইছে তাকে চলতি গ্রীষ্মেই বিক্রি করতে। কারণ ২০২৫ সালেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে আলমাদার অন্তর্ভুক্তি হতে যাচ্ছে সময়োপযোগী এবং কৌশলগত এক সিদ্ধান্ত।
ট্রান্সফার ফি হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো, যা আলমাদার অতীত ট্রান্সফার ফিগুলোর ধারাবাহিকতায়ও উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, বোতাফোগোয় আসার আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস ক্লাব আটলান্টা ইউনাইটেডে খেলেছিলেন। যেখানে তার ২১ মিলিয়ন ডলারের ট্রান্সফার সেই সময়ের অন্যতম ব্যয়বহুল লেনদেন হিসেবে রেকর্ড গড়েছিল।
আলমাদা এখন শুধু নতুন চুক্তির সইয়ের অপেক্ষায়। তার আগমন অ্যাটলেটিকোর আক্রমণভাগে নতুন গতি এবং কৌশল নিয়ে আসবে বলেই মনে করছে ফুটবল বিশ্লেষকরা। আর ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষা, কবে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের মাঝখানে আলমাদা জ্বলে উঠবেন নতুন আলোয়।