ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রীর বিরু‌দ্ধে মামলা

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক ও তার স্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের বিরু‌দ্ধে মামলা পৃথক মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

বুধবার (৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনায় মামলা দু‌টি করা হয়।

দুদক জানায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ১৪ হাজার ৯০২ টাকার সম্পদ অর্জ‌নের অভিযোগে তালুকদার আব্দুল খা‌লে‌কের বিরু‌দ্ধে প্রথম মামলা করা হয়।

দ্বিতীয় মামলায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী পদে এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ৫৩৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে মামলা করা হ‌য়ে‌ছে। আসা‌মিরা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, আসামি তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় তার রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। অনুসন্ধা‌নে খালেকের নামে ২,৯৪,৩২,২৯৯ টাকার স্থাবর ও ১৪,৯১,৯১,৭৯৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১৭,৮৬,২৪,০৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। সেই সময়ে তালুকদার আব্দুল খালেকের নামে ৫৯,৬৩,১৬১ টাকার ঋণ রয়েছে। সুতরাং দায় বাদে তার নীট সম্পদ ১৭,২৬,৬০,৯৩৪ টাকা।

এ সময়ে তালুকদার আব্দুল খালেকের নামে প্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৪,৬২,৯৪,৭৬৮ টাকা এবং পারিবারিক ব্যয়, ঋণ পরিশোধ, স্ত্রীকে দান ও অন্যান্য ব্যয়ের পরিমাণ মোট ২,৯৩,৪৮,৭৩৬ টাকা। সুতরাং ব্যয় বাদে তার নীট সঞ্চয়ের পরিমাণ ১,৬৯,৪৬,০৩২ টাকা। সে অনুযায়ী তালুকদার আব্দুল খালেকের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১৫,৫৭,১৪,৯০২ টাকা।

দ্বিতীয় মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, আসামি হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী পদে এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে
অর্জিত সম্প‌দের পর্যা‌লোচনা ক‌রে দুদক।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাবিবুন নাহারের নামে মোট ২,৬৫,২৩,৫০০ টাকার স্থাবর ও ২,৯৬,০৩,৫৬৪ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৫.৬১,২৭,০৬৪ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। সেই সময়ে তার নামে ঋণ পরিমাণ থাকে ৫৯,৬৩,১৬১ টাকা। সুতরাং দায় বাদে তার নীট সম্পদের পরিমাণ ৫,০১,৬৩,৯০৩ টাকা। এ সময়ে আসামি হাবিবুন নাহারের নামে প্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৫,০০,৬৮,২১৯ টাকা এবং পারিবারিক, ঋণ পরিশোধ ও অন্যান্য ব্যয়ের পরিমাণ ১,৬৫,১১,৮৫৩ টাকা। ব্যয় বাদে তার নীট সঞ্চয়ের পরিমাণ ৩,৩৫,৫৬,৩৬৬ টাকা। সে অনুযায়ী হাবিবুন নাহারের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১,৬৬,০৭,৫৩৭ টাকা।

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রীর বিরু‌দ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৭:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক ও তার স্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের বিরু‌দ্ধে মামলা পৃথক মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

বুধবার (৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনায় মামলা দু‌টি করা হয়।

দুদক জানায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ১৪ হাজার ৯০২ টাকার সম্পদ অর্জ‌নের অভিযোগে তালুকদার আব্দুল খা‌লে‌কের বিরু‌দ্ধে প্রথম মামলা করা হয়।

দ্বিতীয় মামলায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী পদে এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ৫৩৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে মামলা করা হ‌য়ে‌ছে। আসা‌মিরা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, আসামি তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় তার রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। অনুসন্ধা‌নে খালেকের নামে ২,৯৪,৩২,২৯৯ টাকার স্থাবর ও ১৪,৯১,৯১,৭৯৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১৭,৮৬,২৪,০৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। সেই সময়ে তালুকদার আব্দুল খালেকের নামে ৫৯,৬৩,১৬১ টাকার ঋণ রয়েছে। সুতরাং দায় বাদে তার নীট সম্পদ ১৭,২৬,৬০,৯৩৪ টাকা।

এ সময়ে তালুকদার আব্দুল খালেকের নামে প্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৪,৬২,৯৪,৭৬৮ টাকা এবং পারিবারিক ব্যয়, ঋণ পরিশোধ, স্ত্রীকে দান ও অন্যান্য ব্যয়ের পরিমাণ মোট ২,৯৩,৪৮,৭৩৬ টাকা। সুতরাং ব্যয় বাদে তার নীট সঞ্চয়ের পরিমাণ ১,৬৯,৪৬,০৩২ টাকা। সে অনুযায়ী তালুকদার আব্দুল খালেকের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১৫,৫৭,১৪,৯০২ টাকা।

দ্বিতীয় মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, আসামি হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী পদে এবং বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে
অর্জিত সম্প‌দের পর্যা‌লোচনা ক‌রে দুদক।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাবিবুন নাহারের নামে মোট ২,৬৫,২৩,৫০০ টাকার স্থাবর ও ২,৯৬,০৩,৫৬৪ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৫.৬১,২৭,০৬৪ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। সেই সময়ে তার নামে ঋণ পরিমাণ থাকে ৫৯,৬৩,১৬১ টাকা। সুতরাং দায় বাদে তার নীট সম্পদের পরিমাণ ৫,০১,৬৩,৯০৩ টাকা। এ সময়ে আসামি হাবিবুন নাহারের নামে প্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৫,০০,৬৮,২১৯ টাকা এবং পারিবারিক, ঋণ পরিশোধ ও অন্যান্য ব্যয়ের পরিমাণ ১,৬৫,১১,৮৫৩ টাকা। ব্যয় বাদে তার নীট সঞ্চয়ের পরিমাণ ৩,৩৫,৫৬,৩৬৬ টাকা। সে অনুযায়ী হাবিবুন নাহারের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১,৬৬,০৭,৫৩৭ টাকা।