ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপের মাউন্ট লেওতোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরি থেকে আবারো অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। সোমবার আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া ছাই ১৮ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের গ্রামগুলোতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বের হওয়া ছাই জমা হয়েছে। বাতিল হয়েছে বহু ফ্লাইট।
সোমবার এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদেনে জানানো হয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতত্ত্ব সংস্থা আগ্নেয়গিরির ঢালে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পাথর এবং লাভার সঙ্গে মিশ্রিত গ্যাস মেঘ রেকর্ড করেছে।
দেশটির ভূতত্ত্ব সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরে আগ্নেয়গিরিটি থেকে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের পর এবারের অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা সর্বোচ্চ। এরআগে গত ১৮ জুন অগ্ন্যুৎপাত হয়। গত মার্চ মাসেও এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এই মাত্রার অগ্ন্যুৎপাত অবশ্যই বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। বিমান চলাচলের ওপর এর প্রভাব পড়ে।’
আশপাশের লোকজনকে নিরাপদ রাখতে সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রয়োজনে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত, বালি এবং অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলাচলকারী কমপক্ষে ২৪টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিলম্বিত হয়েছে আরো অনেক ফ্লাইট। বালি থেকে লাবুয়ান বাজো পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ প্রশমন কেন্দ্রের প্রধান হাদি বিজয়া বলেছেন, আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া ছাইয়ে ঢেকে যায় আশপাশের গ্রাম। সূর্যের আলো দেখা যায়নি প্রায় আধা ঘন্টা।
২০১০ সালে জাভার ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপে দেশটির সবচেয়ে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মেরাপির অগ্ন্যুৎপাতের পর সোমবারের অগ্ন্যুৎপাতের মাত্রা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।