মাজারে হামলাকারীরা পরকাল নিয়ে ব্যবসা করছে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। হামলার প্রতিবাদে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফকিরি গান ও ভাব-আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাজারে সব শ্রেণির মানুষের আশ্রয়, সেখানে এমন আক্রমণ কেনো- প্রশ্ন তোলেন তিনি। গেলো কয়েকদিনে দেশের অন্তত ৬৪টি মাজারে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে- বলছে বাউল সমিতি।
সন্ধ্যার নামার মুখে একতারা-দোতারার সুরে ভিন্ন এক আবহ তৈরি হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেজে ওঠে মন্দিরা-খঞ্জনীসহ লোকজ নানা বাদ্যযন্ত্র।
ফকিরি গান গেয়ে ওঠেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিল্পীরা। সুরের তালে তালে জানান প্রতিবাদ। ভাব-আবেগ-ভালোবাসা, মানবতা ও আধ্যাত্মবাদের বৈচিত্র্যময় বাণী তাদের কণ্ঠে ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার জানান, অধ্যাত্মিক চেতনার চর্চা হয় মাজারে। সেখানে এ ধরনের হামলা কেনো- প্রশ্ন তোলেন তিনি।ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনারা গাঁজা খাওয়ার কথা কইতেছেন? হ্যাঁ গাঁজা। যান না ঢাকা শহরের যে সব হোটেলে গাঁজা খাওয়া হয়, ওখানে ভাঙতে যান দেখি, কি রকম হ্যাডম! যান গিয়ে ভাঙতে, দেখি!’
বহু কাল ধরে, ইসলাম প্রচারে অবদান সুফি–দরবেশ ও অলি–আউলিয়াদের অবদানের কথা তুলে ধরে বাউল সমিতি। তাদের মতে, মাজার ভাঙার সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। মাজারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দুষ্কৃতকারীরা দায়ী।
বাংলাদেশ বাউল সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল সরকার বলেন, ‘যারা মাজার ভাঙছে, মাজার বিদ্বেষী তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা হোক। এবং তাদের দ্বারাই এই মাজারের সব খরচ করে পুনর্নির্মাণ আরও ভালোভাবে করা হোক।’
সারাদেশে তিন হাজারের বেশি মাজার রয়েছে। হামলার ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন এসব মাজারের ভক্তরা।