বহুল প্রতীক্ষিত ড্রাগনস ডগমা ২ গেমটি অবশেষে গেমারদের হাতে পৌঁছে গেছে। ক্যাপকমের তৈরি এই আরপিজি গেম ২০১৩ সালের ড্রাগনস ডগমা ডার্ক অ্যারাইজেন’ গেমটির পরবর্তী পর্ব, তবে প্রথম গেমটি না খেললেও কাহিনি বুঝতে সমস্যা হবে না। হাই ফ্যান্টাসি ঘরানার আরপিজিটির সঙ্গে এলডার স্ক্রোলস বা এলডেন রিং-এর মিল আছে। তবে গেমে কিছু দূর এগোনোর পরই ড্রাগনস ডগমার উদ্ভট রসবোধ আর গেমপ্লে আছে অটুট, বাকি সব গেমের থেকে এটি একেবারেই আলাদা।
শুরুতেই দেখা যাবে গেমের মূল চরিত্র মৃত্যুর পর এক ড্রাগনের বিশেষ ক্ষমতায় আবারও জীবন ফিরে পেয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, ড্রাগনটিকে পরাস্ত না করা পর্যন্ত গেমারের মুক্তি নেই। তাকে সবাই অ্যারাইজেন বা পুনরুজ্জীবিত বলে আখ্যায়িত করতে শুরু করেছে, চারদিকের নানাবিধ সমস্যা ও অনাচারের বিরুদ্ধে গেমার লড়াই করে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন—এমনটাই সবার আশা। গেমের দুনিয়া বর্তমানে এক ভুয়া অ্যারাইজেন এবং তার রানি দখল করে রেখেছে।
মানুষের পাশাপাশি এলফ এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও তাদের অনাচারে অতিষ্ঠ অবস্থায় আছে। নিজের স্বাধীনতার জন্য লড়াই আর চারপাশের চরিত্রগুলোর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা—এ দুই ধরনের ঘটনাবলির মাধ্যমেই গেমের কাহিনি এগোতে থাকবে।
বাকি সব অ্যাকশন আরপিজির মতো গেমার তাঁর নিজের ইচ্ছামতো অ্যারাইজেনের ডিজাইন, ক্লাস ও স্কিল বাছাই করে নিতে পারবেন। মিলি অস্ত্র এবং কিছু জাদুবিদ্যা ব্যবহার করে শক্রদের পরাস্ত করতে হবে, তবে ক্লাসভেদে সরাসরি অথবা গুপ্ত হামলা হবে বেশি কার্যকর।
গেমারকে মূল চরিত্রের পাশপাশি কিছু পার্শ্ব চরিত্রকেও কাজে লাগাতে হবে, অর্থাৎ বাল্ডুরস গেট গেমের মতো ‘ড্রাগনস ডগমা’তেও আছে পার্টি সিস্টেম। পার্শ্ব চরিত্রগুলোকে গেমার নিজের মনের মতো তৈরি করে নিতে পারবেন, আবার অন্য গেমারদের সঙ্গে অদলবদলও করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সিস্টেমটি অনেকটা পোকেমনের মতোও বলা যায়। গেমের পুরো দুনিয়াটিই উন্মুক্ত, তবে কিছু সারভাইভাল এলিমেন্ট থাকায় চাইলেই পুরো দুনিয়া এক বসায় দেখে ফেলা যাবে না। রাতে লণ্ঠনের আলো ছাড়া অগ্রসরের উপায় নেই, লণ্ঠনের তেলও ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসবে।
টানা রাস্তায় থাকলে ধীরে ধীরে গেমারের চরিত্রের হেলথ কমতে থাকবে, তাই ক্যাম্প করে রাতে বিশ্রাম নেওয়া আবশ্যিক। ফাস্ট ট্রাভেল সিস্টেম গেমটিতে আছে, কিন্তু সেটা নিজের তৈরি করে নিতে হবে, ম্যাপ খুললেই হাজারো ফাস্ট ট্রাভেল পয়েন্ট দেখা যাবে না।
গ্রাফিকসে ড্রাগনস ডগমা ২ বাকি সব গেমের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে আছে। বর্তমানে বাজারে থাকা সেরা গেমিং পিসিও গেমটিকে চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, অনেক গেমাররাই বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে প্লে স্টেশন ৫ কনসোলে এটি দিব্বি চলছে। ক্যাপকমের গেমগুলোতে এই সমস্যা অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে।
বয়স
শুধু বড়দের জন্য
খেলতে যা যা লাগবে
অন্তত কোরআই ৫ ১০৬০০ বা রাইজেন ৩৬০০ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট র্যাম, জিটিএক্স ১০৭০ বা আরএক্স ৫৫০০এক্সটি জিপিউ এবং ৬৫ গিগাবাইট জায়গা।