ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেপ্টেম্বরে সড়কে ৪১৭ প্রাণহানি

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৮২ জন। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু রয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন ১৩.৪২ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন ব্যবসায়ী, ৯ জন বিক্রয় প্রতিনিধি, ৭ জন শিক্ষক, ৬ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সাংবাদিক ছিলেন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা। এ বিভাগে ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৮.৮৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন নিহত।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন। পাশাপাশি ২৯টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হওয়ার তথ্যও দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ১১টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন এবং খারাপ সড়ক। বেপরোয়া গতি এবং চালকদের অদক্ষতা। চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা অনির্দিষ্ট থাকা। মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল। ট্রাফিক আইন অমান্য ও দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

দুর্ঘটনা রোধে ফাউন্ডেশন বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো— দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও বেতন নিশ্চিত করা, মহাসড়কে সার্ভিস রোড তৈরি, রোড ডিভাইডার নির্মাণ ও গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

সেপ্টেম্বরে সড়কে ৪১৭ প্রাণহানি

আপডেট সময় : ০২:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৮২ জন। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু রয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন ১৩.৪২ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন ব্যবসায়ী, ৯ জন বিক্রয় প্রতিনিধি, ৭ জন শিক্ষক, ৬ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সাংবাদিক ছিলেন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা। এ বিভাগে ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৮.৮৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন নিহত।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন। পাশাপাশি ২৯টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হওয়ার তথ্যও দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ১১টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন এবং খারাপ সড়ক। বেপরোয়া গতি এবং চালকদের অদক্ষতা। চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা অনির্দিষ্ট থাকা। মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল। ট্রাফিক আইন অমান্য ও দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

দুর্ঘটনা রোধে ফাউন্ডেশন বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো— দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও বেতন নিশ্চিত করা, মহাসড়কে সার্ভিস রোড তৈরি, রোড ডিভাইডার নির্মাণ ও গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।