ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, থানায় মামলা

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • ২২১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনের নিচে দুই সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আট থেকে দশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে মামলাটি করেন বেসরকারি চ্যানেল ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রেদওয়ানুল হক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ কমলাপুরস্থ উটের খামার সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে ফুটপাতের ওপর বসে ছিলাম। হঠাৎ তিনজনসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন বিবাদী এসে উত্তেজিত ভাষায় আমাদের স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় এবং মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। তখন রেদওয়ান স্থান ত্যাগ করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন এবং জানান যে, তারা পেশায় সাংবাদিক এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আসামিরা তাকে ও তার সঙ্গে থাকা আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া আনাস (২৯) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন তিনি তাদেরকে গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ শুরু করে। তারা তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারে। এসময় তার সঙ্গে থাকা আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া আনাসকে সবাই মিলে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পাশে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি কল করে পুলিশকে জানান তারা।

মামলার আসামিরা হলেন— মতিঝিলের ৭২ দক্ষিণ কমলাপুরের ওহিউল্লাহ’র ছেলে আলী হোসেন (৪৫), একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মামুন আহমেদ (৪২) ও ৭৩ দক্ষিণ কমলাপুরের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে শাহীন আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন।

মামলার বাদী রেদওয়ানুল বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে কালবেলার রিপোর্টার আনাসের সঙ্গে তার বাসার নিচে (বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে) একটা নিউজের বিষয়ে আলাপ করছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন এসে বলে, এখান থেকে ওঠ, আমরা বসব। আমি বললাম, এভাবে কথা বলছেন কেন, ভদ্রভাবে বলুন। জাস্ট এটাই ছিল আমাদের অপরাধ। ধাক্কা দিয়ে বলে, গালি দিয়েছি নাকি মেরেছি, অভদ্রতার কি দেখলি। বললাম, গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? গায়ে হাত দিলে কি করবি বলেই কিল ঘুষি লাথি শুরু। আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। আনাস একটু প্রতিবাদ করল; এতেই ফের মারধর শুরু। এরই মধ্যে রড নিয়ে আসলো কয়েকজন, আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলাম কোনো লাভ হল না। দৌড়ে জীবন বাঁচালাম। পুলিশকে কল করলাম, আসলো কিন্তু কাউকে ধরল না। মামলা করলাম দেখা যাক কি হয়।

মতিঝিল থানার ওসি মেসবাহ উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে কিন্তু এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

রাজধানীতে দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, থানায় মামলা

আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনের নিচে দুই সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আট থেকে দশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে মামলাটি করেন বেসরকারি চ্যানেল ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রেদওয়ানুল হক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ কমলাপুরস্থ উটের খামার সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে ফুটপাতের ওপর বসে ছিলাম। হঠাৎ তিনজনসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন বিবাদী এসে উত্তেজিত ভাষায় আমাদের স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় এবং মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। তখন রেদওয়ান স্থান ত্যাগ করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন এবং জানান যে, তারা পেশায় সাংবাদিক এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আসামিরা তাকে ও তার সঙ্গে থাকা আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া আনাস (২৯) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন তিনি তাদেরকে গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ শুরু করে। তারা তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারে। এসময় তার সঙ্গে থাকা আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া আনাসকে সবাই মিলে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পাশে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি কল করে পুলিশকে জানান তারা।

মামলার আসামিরা হলেন— মতিঝিলের ৭২ দক্ষিণ কমলাপুরের ওহিউল্লাহ’র ছেলে আলী হোসেন (৪৫), একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মামুন আহমেদ (৪২) ও ৭৩ দক্ষিণ কমলাপুরের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে শাহীন আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন।

মামলার বাদী রেদওয়ানুল বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে কালবেলার রিপোর্টার আনাসের সঙ্গে তার বাসার নিচে (বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে) একটা নিউজের বিষয়ে আলাপ করছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন এসে বলে, এখান থেকে ওঠ, আমরা বসব। আমি বললাম, এভাবে কথা বলছেন কেন, ভদ্রভাবে বলুন। জাস্ট এটাই ছিল আমাদের অপরাধ। ধাক্কা দিয়ে বলে, গালি দিয়েছি নাকি মেরেছি, অভদ্রতার কি দেখলি। বললাম, গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? গায়ে হাত দিলে কি করবি বলেই কিল ঘুষি লাথি শুরু। আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। আনাস একটু প্রতিবাদ করল; এতেই ফের মারধর শুরু। এরই মধ্যে রড নিয়ে আসলো কয়েকজন, আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলাম কোনো লাভ হল না। দৌড়ে জীবন বাঁচালাম। পুলিশকে কল করলাম, আসলো কিন্তু কাউকে ধরল না। মামলা করলাম দেখা যাক কি হয়।

মতিঝিল থানার ওসি মেসবাহ উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে কিন্তু এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।