সকালে সার্কিট হাউস সভাকক্ষে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারাও নানাভাবে সেবা গ্রহণে হয়রানির অভিযোগ করা হয় বলে জানান বক্তারা।
এসময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘হয়রানি করতে কারো বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অভিযোগ দিলেও, প্রাথমিক প্রমাণ না থাকলে কোনো ব্যবস্থা নেয় না দুদক। সেইসঙ্গে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সর্বোপরি মানুষের ডিএনএ’তে দুর্নীতি ঢুকে গেছে বলে আক্ষেপ করেন দুদক চেয়ারম্যান। অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সুবর্ণ সুযোগ জানিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার অফিসে ভুয়া সমন্বয়ক পেয়েছিলাম। ভুয়া ও প্রকৃত সমন্বয়কদের অবৈধভাবে সুযোগ দেয়ারও কোনো কারণ নেই। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজে অনেক ভুল আছে, সেই ভুল থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। দুদকের বেশি কাজ হওয়া উচিত, ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয়। আগে যে দুর্নীতি হয়েছে সেখানে কম সময় দেওয়া উচিত। কিন্তু আগে কী দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে আমরা শতভাগ সময় কাটিয়ে দিচ্ছি।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বরিশাল বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মোজাহার আলী সরদার, বরিশাল জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম ও দুর্নীতি দশন কমিশন (প্রতিরোধ) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।