ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই মাসে মদিনায় ১১ হাজার টন জমজমের পানি বিতরণ

এবারের পবিত্র হজ মৌসুমে শুধুমাত্র মদিনার মসজিদে নববিতে ১১ হাজার ৮৩০ টন জমজমের পানি বিতরণ করা হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির পরিচালনা পরিষদের সূত্রে সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ১ জিলকদ থেকে ২৯ জিলহজ পর্যন্ত মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা জমজম সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

এই পানি সরবরাহ একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার অংশ, যার মাধ্যমে মসজিদে নববি এবং এর প্রাঙ্গণ, করিডোর ও মেঝেতে পানি সরবরাহের স্থানগুলোতে জমজম সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়।

২০২৪ সালে সৌদি আরবে ১ কোটি ৮৫ লাখ হজ ও উমরা পালনকারীর আগমন ঘটে। এর মধ্যে হজপালন করেন ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন।

নিয়ম অনুযায়ী হজ ও উমরা পালনকারীরা মদিনা জিয়ারত করেন। সেখানেই জমজমের পানি বিতরণ করা হয়। মসজিদে নববির বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত কন্টেইনারে জমজম রাখা হয় যাতে পানি ঠান্ডা থাকে এবং বিশুদ্ধ থাকে।

জমজম সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে মসজিদ প্রশাসনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে, যেখানে শত শত কর্মী এ কাজে নিয়োজিত।

উল্লেখ যে, মক্কা থেকে মদিনার মসজিদে নববি পর্যন্ত প্রতিদিন ৪২১ কিলোমিটার দূরত্বের পথ পাড়ি দিয়ে জমজম পানি বিশেষ ট্যাংকারে আনা হয়। এই ট্যাংকারগুলো বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি করা এবং জমজম স্থানান্তরের প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

জমজম পৌঁছানোর পর তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়, যেন পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

দুই মাসে মদিনায় ১১ হাজার টন জমজমের পানি বিতরণ

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

এবারের পবিত্র হজ মৌসুমে শুধুমাত্র মদিনার মসজিদে নববিতে ১১ হাজার ৮৩০ টন জমজমের পানি বিতরণ করা হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির পরিচালনা পরিষদের সূত্রে সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ১ জিলকদ থেকে ২৯ জিলহজ পর্যন্ত মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা জমজম সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

এই পানি সরবরাহ একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার অংশ, যার মাধ্যমে মসজিদে নববি এবং এর প্রাঙ্গণ, করিডোর ও মেঝেতে পানি সরবরাহের স্থানগুলোতে জমজম সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়।

২০২৪ সালে সৌদি আরবে ১ কোটি ৮৫ লাখ হজ ও উমরা পালনকারীর আগমন ঘটে। এর মধ্যে হজপালন করেন ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন।

নিয়ম অনুযায়ী হজ ও উমরা পালনকারীরা মদিনা জিয়ারত করেন। সেখানেই জমজমের পানি বিতরণ করা হয়। মসজিদে নববির বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত কন্টেইনারে জমজম রাখা হয় যাতে পানি ঠান্ডা থাকে এবং বিশুদ্ধ থাকে।

জমজম সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে মসজিদ প্রশাসনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে, যেখানে শত শত কর্মী এ কাজে নিয়োজিত।

উল্লেখ যে, মক্কা থেকে মদিনার মসজিদে নববি পর্যন্ত প্রতিদিন ৪২১ কিলোমিটার দূরত্বের পথ পাড়ি দিয়ে জমজম পানি বিশেষ ট্যাংকারে আনা হয়। এই ট্যাংকারগুলো বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি করা এবং জমজম স্থানান্তরের প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

জমজম পৌঁছানোর পর তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়, যেন পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়।