তিনি দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘সারা বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জে ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র-জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনার আজকেই শেষ দিন।’ এর আগে দুপুরে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়ে।
দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে লঞ্চঘাট এলাকায় এনসিপি নেতারা সমাবেশ শেষ করে বের হওয়ার সময় ফের হামলার শিকার হন। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে নামে।
পরে এনসিপি নেতারা টেকেরহাট হয়ে মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে পথে ফের হামলার মুখে পড়েন এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর আগে গোপালগঞ্জ সদর, উলপুর ও কোটালিপাড়াসহ একাধিক এলাকায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। এনসিপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, এসব হামলার পেছনে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা জড়িত এবং প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার।