আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আদেশ করেন: “গোফ ছোট করো আর দাঁড়ি বড় করো।
আমাদের সবার মধ্যে একটা বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা হলো যে “দাড়ি রাখা সুন্নাত”, সুতরাং এটা রাখলেও চলে, না রাখলেও চলে!
নবীর যেসব সুন্নাত সব মানুষের অনুকরণের জন্য নির্ধারিত, তাদেরকে বলে সুন্নাতে ইবাদত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি কখনো কাটেননি, কাটার অনুমতি দেননি; বরং তা বড় করতে বলেছেন, তাই দাড়ি রাখা সুন্নাতে ইবাদত হিসেবে ওয়াজিব, যা লঙ্ঘনের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) এর অভিশাপের কাছে নিজেকে উন্মুক্ত করে দেয়।
ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফি, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ইমাম ইবন তাইমিয়া সহ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত এর সকল আলিম দাড়ি কাটাকে হারাম বলেছেন (আল লিহয়াত আল বিন আস-সালাফ ওয়াল খালাফ ~মুহম্মদ আল জিবালি)।
• আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা:) আদেশ করেছেন: “গোফ ছোট করো ও দাড়ি বড় করো, কিতাবধারীদের (ইহুদি-খ্রিস্টান) বিরোধিতা করো”।
• ইবন উমার (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন “মুশরিকদের চেয়ে আলাদা হও,গোফ ছোট করো ও দাড়ি বড় করো” (সহীহ মুসলিম)।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বারবার সাবধান করে বলেছেন, যে যাকে অনুকরণ করবে সে তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে! আমরা প্রতি ওয়াক্ত সালাতে সূরা ফাতিহা’র শেষ আয়াতে আল্লাহর দরবারে দুটি দলের পথ যেন না মাড়াই সে কাতর আহ্বান জানাই, কাদের থেকে আলাদা হতে চাই?
তাদের থেকে — যারা সত্য প্রতি বিমুখ ছিল, তাদের থেকে যারা সত্য জেনেও মানেনি৷ তবে কি আমরা দাড়ি রাখার ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) এবং উনার সাহাবাদের পরিবর্তে অনুসরণ করছি মুশরিক – ইহুদি – খ্রিস্টান – অগ্নি উপাসকদের, যাদের অন্তিম পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নামের আগুন?
পরিশেষে একটি আয়াতআর যে আল্লাহ ও তার রাসুলকে অমান্য করে,তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন! তাতে তারা চিরস্থায়ী হবে” – সুরা আল জ্বীন, ৭২:২৩