ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি বাহিনীকে ‘প্রশিক্ষণ দিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মরদেহ কিনছে মার্কিন নৌবাহিনী

  • চেতনায়২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে

২০১৭ সালের শেষ দিকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসসি) থেকে মানুষের মরদেহ কিনতে একটি নোটিশ দাখিল করে মার্কিন নৌবাহিনী।  

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্থ ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানেনবার্গ স্কুল ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজমের অধীনে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইউএসসি অ্যানেনবার্গ মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিকিৎসকদের ট্রমা সার্জারির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এই মরদেহগুলো নিয়ে যেতো মার্কিন বাহিনী।

আর নোটিশের পর থেকে, মার্কিন নৌবাহিনী কমপক্ষে ৮৯ টি মরদেহ এর জন্য ইউএসসিকে ৮ লাখ ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টারে আইডিএফকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৩২ টি মরদেহ ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একটি চুক্তি এখনো চলমান আছে। সম্প্রতি নতুন চুক্তিতে নৌবাহিনী চাইলে অতিরিক্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার মূল্যের মরদেহ কিনতে পারবে। এতে মরদেহ বিক্রি করে গত সাত বছরে ইউএসসির মোট আয় দাঁড়াবে প্রায় ১১ লাখ ডলার।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর এমন চুক্তি আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে মার্কিন বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকরা। তারা জানতে চেয়েছেন, মৃতদের পরিবারের কোনো ধারণা আছে কিনা যে তাদের প্রিয়জনদের মরদেহ সেনা প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে ইউএসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা নিয়ম মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দান করে দেওয়া লাশের ব্যবহার নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির অ্যানাটমি অধ্যাপক টমাস চ্যাম্পনি বলেন, ‘যদিও তারা মারা গেছেন, তবু তাদের জীবিতদের মতো সম্মান এবং মর্যাদা এবং যথাযথ মূল্যায়ন প্রাপ্য।

মৃতদেহ সংগ্রহ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেক স্কুল অফ মেডিসিন বলেছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ম মেনে মরদেহ অধিগ্রহণসহ তার অস্ত্রোপচার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে।’

অ্যানেনবার্গ মিডিয়া মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়া, নৌবাহিনীর এই কার্যক্রম মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য করা নয় জানিয়ে একে ‘জঘন্য বিষয়’ বলেন ক্লেয়ার নামে পরিচয় দেওয়া চতুর্থ বর্ষের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী।

এদিকে অ্যানেনবার্গ মিডিয়া এই চুক্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে লস অ্যাঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টারে যোগাযোগ করতে বলেছে তারা।

লস এঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তারা ‘গর্বিত’ এবং চুক্তিতে কোন বিদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ নেই।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

ইসরায়েলি বাহিনীকে ‘প্রশিক্ষণ দিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মরদেহ কিনছে মার্কিন নৌবাহিনী

আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

২০১৭ সালের শেষ দিকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসসি) থেকে মানুষের মরদেহ কিনতে একটি নোটিশ দাখিল করে মার্কিন নৌবাহিনী।  

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্থ ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানেনবার্গ স্কুল ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজমের অধীনে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইউএসসি অ্যানেনবার্গ মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিকিৎসকদের ট্রমা সার্জারির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এই মরদেহগুলো নিয়ে যেতো মার্কিন বাহিনী।

আর নোটিশের পর থেকে, মার্কিন নৌবাহিনী কমপক্ষে ৮৯ টি মরদেহ এর জন্য ইউএসসিকে ৮ লাখ ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টারে আইডিএফকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৩২ টি মরদেহ ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একটি চুক্তি এখনো চলমান আছে। সম্প্রতি নতুন চুক্তিতে নৌবাহিনী চাইলে অতিরিক্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার মূল্যের মরদেহ কিনতে পারবে। এতে মরদেহ বিক্রি করে গত সাত বছরে ইউএসসির মোট আয় দাঁড়াবে প্রায় ১১ লাখ ডলার।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর এমন চুক্তি আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে মার্কিন বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকরা। তারা জানতে চেয়েছেন, মৃতদের পরিবারের কোনো ধারণা আছে কিনা যে তাদের প্রিয়জনদের মরদেহ সেনা প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে ইউএসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা নিয়ম মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দান করে দেওয়া লাশের ব্যবহার নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির অ্যানাটমি অধ্যাপক টমাস চ্যাম্পনি বলেন, ‘যদিও তারা মারা গেছেন, তবু তাদের জীবিতদের মতো সম্মান এবং মর্যাদা এবং যথাযথ মূল্যায়ন প্রাপ্য।

মৃতদেহ সংগ্রহ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেক স্কুল অফ মেডিসিন বলেছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ম মেনে মরদেহ অধিগ্রহণসহ তার অস্ত্রোপচার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে।’

অ্যানেনবার্গ মিডিয়া মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়া, নৌবাহিনীর এই কার্যক্রম মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য করা নয় জানিয়ে একে ‘জঘন্য বিষয়’ বলেন ক্লেয়ার নামে পরিচয় দেওয়া চতুর্থ বর্ষের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী।

এদিকে অ্যানেনবার্গ মিডিয়া এই চুক্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে লস অ্যাঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টারে যোগাযোগ করতে বলেছে তারা।

লস এঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তারা ‘গর্বিত’ এবং চুক্তিতে কোন বিদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ নেই।