ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজাগামী জাহাজে ইসরায়েলি আগ্রাসন, কঠিন প্রতিক্রিয়া ইরানের

আন্তর্জাতিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই আন্তর্জাতিক নৌবহরের উদ্দেশ্য ছিল, তেলআবিবের আরোপিত অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছানো।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ বলেন, ‍“এই নৃশংসতা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং একধরনের সন্ত্রাসবাদ।”

বাঘাঈ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কর্মী ও তৃণমূল সংগঠনের মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে এবং এই নির্মম অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করেছে।

৫০টির মতো নৌযানের বহরের ১৩টি গাজা উপকূলে পৌঁছানোর সময় ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছে। ২০০ এর বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নৌযানগুলোর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ঘটনাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করতে না পারে।

এ আগ্রাসন ঘটে এমন এক সময়ে, যখন অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার যুদ্ধ চালাচ্ছে, যেখানে অবরোধকে ব্যবহার করা হচ্ছে কষ্ট ও প্রাণহানি সর্বাধিক করার হাতিয়ার হিসেবে।

বাঘাঈ বলেন, গাজায় চলমান জাতিগত নিধন ও নিরীহ বেসামরিক হত্যাকাণ্ড সব দেশের জন্যই একটি আইনগত, নৈতিক ও মানবিক দায় তৈরি করে। এই গণহত্যা বন্ধ করা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সবার কাজ করা উচিত।

সূত্র: প্রেস টিভি

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

গাজাগামী জাহাজে ইসরায়েলি আগ্রাসন, কঠিন প্রতিক্রিয়া ইরানের

আপডেট সময় : ০২:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই আন্তর্জাতিক নৌবহরের উদ্দেশ্য ছিল, তেলআবিবের আরোপিত অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছানো।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ বলেন, ‍“এই নৃশংসতা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং একধরনের সন্ত্রাসবাদ।”

বাঘাঈ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কর্মী ও তৃণমূল সংগঠনের মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে এবং এই নির্মম অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করেছে।

৫০টির মতো নৌযানের বহরের ১৩টি গাজা উপকূলে পৌঁছানোর সময় ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছে। ২০০ এর বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নৌযানগুলোর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ঘটনাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করতে না পারে।

এ আগ্রাসন ঘটে এমন এক সময়ে, যখন অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার যুদ্ধ চালাচ্ছে, যেখানে অবরোধকে ব্যবহার করা হচ্ছে কষ্ট ও প্রাণহানি সর্বাধিক করার হাতিয়ার হিসেবে।

বাঘাঈ বলেন, গাজায় চলমান জাতিগত নিধন ও নিরীহ বেসামরিক হত্যাকাণ্ড সব দেশের জন্যই একটি আইনগত, নৈতিক ও মানবিক দায় তৈরি করে। এই গণহত্যা বন্ধ করা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সবার কাজ করা উচিত।

সূত্র: প্রেস টিভি