ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুর্কি নাগরিকদের ‘অপহরণ’ : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজার পথে যাত্রাকালে ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১৩টি নৌযান আটক করেছে বলে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে। আটক নৌযানগুলোতে ৩৭ দেশের ২০১ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন তুরস্কের নাগরিক। এছাড়া ৩০ জন স্পেনের, ২২ জন ইতালির  এবং ১২ জন মালয়েশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। নিরস্ত্র নাগরিকদের এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়াকে অপহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্বনেতাদের অনেকে। 

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ফ্লোটিলার ওপর ইসরায়েলি আক্রমণ ছিল একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম, যা নিরীহ বেসামরিক মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

তুরস্ক জানিয়েছে, ফ্লোটিলায় থাকা তুর্কি নাগরিক ও অন্যদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইতালিজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের হামলা ও ফ্লোটিলায় থাকা কর্মীদের (যার মধ্যে দুজন কলম্বিয়ানও রয়েছেন) আটক করার ঘটনায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো দেশটির সব ইসরায়েলি কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছেন।

এক্স-এ দেওয়া পোস্টে পেত্রো জানান, কলম্বিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করেছেন। তিনি একে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সংঘটিত “নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ” বলে আখ্যায়িত করেছেন।

অন্য এক পোস্টে পেত্রো লিখেছেন, এখানেই নেতানিয়াহু তার বিশ্বব্যাপী ভণ্ডামি দেখালেন এবং কেন তিনি একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী—যাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা উচিত, তা প্রমাণ করলেন।

তিনি আরও জানান, কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তিনি আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সূত্র: আল জাজিরা

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত

তুর্কি নাগরিকদের ‘অপহরণ’ : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে তুরস্ক

আপডেট সময় : ১২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজার পথে যাত্রাকালে ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১৩টি নৌযান আটক করেছে বলে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে। আটক নৌযানগুলোতে ৩৭ দেশের ২০১ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন তুরস্কের নাগরিক। এছাড়া ৩০ জন স্পেনের, ২২ জন ইতালির  এবং ১২ জন মালয়েশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। নিরস্ত্র নাগরিকদের এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়াকে অপহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্বনেতাদের অনেকে। 

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ফ্লোটিলার ওপর ইসরায়েলি আক্রমণ ছিল একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম, যা নিরীহ বেসামরিক মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

তুরস্ক জানিয়েছে, ফ্লোটিলায় থাকা তুর্কি নাগরিক ও অন্যদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইতালিজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের হামলা ও ফ্লোটিলায় থাকা কর্মীদের (যার মধ্যে দুজন কলম্বিয়ানও রয়েছেন) আটক করার ঘটনায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো দেশটির সব ইসরায়েলি কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছেন।

এক্স-এ দেওয়া পোস্টে পেত্রো জানান, কলম্বিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করেছেন। তিনি একে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সংঘটিত “নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ” বলে আখ্যায়িত করেছেন।

অন্য এক পোস্টে পেত্রো লিখেছেন, এখানেই নেতানিয়াহু তার বিশ্বব্যাপী ভণ্ডামি দেখালেন এবং কেন তিনি একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী—যাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা উচিত, তা প্রমাণ করলেন।

তিনি আরও জানান, কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তিনি আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সূত্র: আল জাজিরা